ঈদের ছুটিতে ষাটগম্বুজে

পরিবার-স্বজনদের সঙ্গে ঈদ উৎসবের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে শিশু কিশোর,নারী পুরুষসহ নানা বয়সী মানুষের পদচারণায় মুখোর বাগেরহাটের ঐতিহ্যবাহী ষাটগম্বুজ মসজিদসহ জেলার বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রগুলো।

বাগেরহাট প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 June 2019, 08:20 AM
Updated : 7 June 2019, 08:33 AM

বৈরী আবহাওয়ার কারণে ঈদের দিনে কেউ ঘর থেকে বের হতে না পারলেও দ্বিতীয় দিন ইচ্ছেমত ঘুরে বেরিয়ে সে ঘটাতি পুষিয়ে নিয়েছেন তারা; আর তাই এদিন বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে ছিল দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বাগেরহাট-খুলনা মহাসড়কের বারাকপুর এলাকায় সুন্দরবন রিসোর্টসহ জেলার সব বিনোদনকেন্দ্রে ঈদের দ্বিতীয় দিন সকাল থেকে দর্শনার্থীরা আসা শুরু করেন; বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিড়ও বাড়তে থাকে।

সব বয়সের দর্শনার্থীরা বিভিন্ন রাইডে চড়ে আনন্দে মেতে ওঠেন। দর্শক বাড়তে বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে বাড়তি আকর্ষণ হিসেবে রাখা হয়েছে কুমিরসহ নানা ধরনের পশুপাখি।

এবার বাগেরহাটের প্রায় সাড়ে ছয়শ বছরের পুরানো ষাটগম্বুজ মসজিদে দর্শনার্থীদের বেশি ভিড় দেখা গেছে; দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ ছুটে এসেছেন ঐহিত্যবাহী এ মজজিদ দেখতে।

দর্শনার্থীরা জানান, হযরত খানহাজানের অমরর্কীতি ষাটগম্বুজ মসজিদ দেখে তারা অভিভূত; আর বিনোদন কেন্দ্রের রাইডে চড়ে আর পশু পাখির দেখা পেয়ে ইদৈর ছুটির আমেজ বেড়েছে দ্বিগুণ। 

খুলনার সোনাডাঙ্গা থেকে আসা সাবিবুর রহমান বিবিনিউজ টেয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে ষাটগম্বুজ মসজিদ সম্পর্কে জানাতে এখানে আসা। আমরা সবাই মসজিদটি দেখে অভিভূত। এমন দর্শনীয় জায়গায় সবার আসা দরকার।”

চট্টগ্রামের নিলুফার ইয়াসমিন বলেন, “অনেকদিন ধরে ইচ্ছা ছিল ঐতিহাসিক ষাটগম্বুজ মসজিদটি দেখব। তাই ঈদের ছুটি পেয়ে পরিবারের সবাইকে নিয়ে এলাম। হযরত খানজাহানের  অপূর্ব নির্মাণ শৈলী দেখে আমি মুগ্ধ।”

বাগেরহাট প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের কাস্টোডিয়ান মো. গোলাম বলেন, ঈদের ছুটিতে এখানে বিপুল দর্শনার্থীর সমাগম ঘটে। তবে এবারে আবহাওয়া বৈরী থাকায় ঈদের দিনে দর্শনার্থী কম ছিল।

আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আগামী এক সপ্তাহ গতবারের চেয়ে বেশি দর্শনার্থী হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।