সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার মেঘাই, ঢেকুরিয়া, নাটুয়ার পাড়া, বগুড়ার ধুনট উপজেলার বানিয়াজান গ্রোয়েন, শহরাবাড়ী গ্রোয়ন, সারিয়াকান্দী উপজেলার কালিতলা গ্রোয়েন সববয়সী মানুষের পর্যটন স্পটে পরিণত হয়েছে।
বরাবরের মতো এবার ঈদুল ফিতরেও নানা শ্রেণিপেশার মানুষ ভিড় করেছেন এসব পর্যটন এলাকায়।
ঈদের দিন এবং দ্বিতীয় দিন তো আছেই এরপরও এখানে মানুষ আসে একটু শান্তির পরশ পেতে। যমুনার হিমেল হাওয়ায় সময় কাটানোর মধ্যে আড্ডা জমে ওঠে প্রিয়জনদের মধ্যে। কেউ কেউ নৌকা ভাড়া করে যমুনা ভ্রমণে বেরিয়ে পড়েন।
ঈদ উপলক্ষে নদীর পাড়ে নানারকম দোকানও বসে এসব এলাকায়। বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত মানুষের পদচারণায় মুখর থাকে যমুনা তীর।
বগুড়া শহর, সিরাজগঞ্জ শহর থেকে শুরু করে জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে মোটরসাইকেল, সিএনজি অটোরিকশা, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, নসিমন নিয়ে এসব স্থানে আসা যায়।
জুয়েল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “পরিবার ও স্বজনদের নিয়ে ঘুরতে এসেছি। ঈদের ছুটিতে যমুনার পাড়ে সময় কাটানো সুমুদ্র সৈকতের আমেজ এনে দেয়। এই গরমে এমনিতেই নদীর পাড়ে ঘুরতে ভালো লাগে; তার উপর ঈদ। ভালো তো লাগবেই।”
মেঘাই, ঢেকুরিয়ার মতো ছাতা, বেঞ্চি দিলে এবং নিরাপত্তার ব্যবস্থা করলে এখানে মানুষ সারা বছরই বেড়াতে আসত বলে তিনি মনে করেন।
সারিকান্দীর কালিতলায় কথা হয় গার্মেন্টসকর্মী জাকিয়া আক্তারের সঙ্গে।
অনেকদিন যাদের সঙ্গে দেখা হয় না তাদের সঙ্গেও এখানে দেখা হয়ে যায় বলে জানালেন তিনি।
কাজিপুরের মেঘাইয়ে কথা হলো কাজিপুর থানার ওসি লুৎফর রহমানের সঙ্গে।
তিনি বলেন, “হাজার হাজার মানুষ আসে ঈদের দিনসহ আর কয়েকদিন। ছুটিতে বাড়ি যেতে পারিনি। এসব দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার জন্য ডিউটি করছি।”
এখানে এসে তারও ভালো লাগে বলে জানালেন।