এ উপলক্ষে বুধবার শেরপুরে নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
ভাষা সৈনিকের পরিবারের পক্ষ থেকে নেওয়া দিনের কর্মসূচির মধ্যে ছিল ঈদের নামাজের পর সকালে চাপাতলী পৌর কবরে পুষ্পঅর্পণ ও কবর জিয়ারত। এছাড়া শেরপুর শহরের তেরা বাজার মাদ্রাসায় কোরআন খানি ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
প্রয়াত এই ভাষা সৈনিকের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিভিন্ন ঈদের জামাতে নামাজের পর দোয়া করা হয়।
১৯৭৫ সালে জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নিহত হলে এর প্রতিবাদ করায় তৎকালীন সরকার তাকে ময়মনসিংহ জেলা কারাগারে নয় মাস কারারুদ্ধ করে রাখে।
বঙ্গবন্ধু বাকশাল গঠন করলে তিনি শেরপুর জেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হন।
অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির অনুসারী আব্দুর রশীদ মৃত্যুর আগ পর্যন্ত স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকার, আলবদর, আল সামস ও জামায়াত-শিবির এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে আন্দোলন করেছেন।
জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তিনি শেরপুর জেলা ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে গেছেন।
তিনি ৮৪ বছর বয়সে বার্ধক্য জনিত কারণে ২০১৪ সালের ৫ জুন জেলা শহরের গৃদানারায়ণপুরের নিজ বাসভবনে মৃত্যুবরণ করেন।