মাগুরার সেই পালঙ্কটি প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরে হস্তান্তর

মাগুরায় জেলা প্রশাসকের বাস ভবনের আলোচিত সেই পালঙ্কটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরে হস্তান্তর করা হয়েছে।

মাগুরা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 June 2019, 11:48 AM
Updated : 3 June 2019, 02:37 PM

জেলা প্রশাসক মো. আলী আকবর জানান, সোমবার সকালে জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগের পরিচালকের প্রতিনিধিদের কাছে এটি হস্তান্তর করা হয়।

সম্প্রতি গণমাধ্যমে খবর আসে, জেলা প্রশাসক আলী আকবর একটি পালঙ্ক ব্যবহার করছেন যা ভুষণার রাজা সীতারাম রায়ের। মোগল আমলে ভুষণার রাজধানী ছিল মাগুরায়।

জেলা প্রশাসক বলেন, পালঙ্কটির বয়স সম্পর্কে জেলা প্রশাসন বা প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরে কোনো তথ্য নেই। এটি রাজা সীতা রাম রায়ের কিনা সে রকম কোনো তথ্যও খুঁজে পাওয়া যায়নি।

তাই তিনি প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগের পরিচালক বরাবর পালঙ্কটির প্রত্নতাত্ত্বিক গুরুত্ব পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য চিঠি দেন।

প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের খুলনার পরিচালক আফরোজা খান মিতা বলেন, পালঙ্কটি রাজা সীতারাম রায়ের কিনা এ বিষয়ে কোনো তথ্য-প্রমাণ তাদের কাছে নেই।

“এ কারণে মাগুরার জেলা প্রশাসকের চিঠি পেয়ে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের নিদের্শনা অনুয়ায়ি পালঙ্কটি সোমবার আমার প্রতিনিধিদের মাধ্যমে মাগুরা থেকে খুলনায় আনা হয়েছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে প্রত্নতাত্ত্বিক গুরুত্ব পেলে যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা হবে।”

গণমাধ্যমে খবর আসার পর জেলা প্রশাসকের বাস ভবনের মালখানায় গিয়ে খোলা অবস্থায় পুরনো একটি পালঙ্ক দেখা গেছে।

জেলা প্রশাসক বলেন, “পালঙ্কটির ব্যবহারযোগ্যতা নেই। এ কালে এ ধরনের পালঙ্ক কেউ ব্যবহার করে না।”

পালঙ্কটি কোথা থেকে কিভাবে এখানে এসেছে সে বিষয়ে তথ্য মেলেনি। তবে প্রায় ৩০ বছর ধরে কখনও কখনও জেলা প্রশাসনের ট্রেজারিতে, কখনও রেকর্ড রুম, কখনওবা জিম্মাখানায় আবার কখনও জেলা প্রশাসনের বাস ভবনের স্টোর রুমে রাখা হচ্ছে বলে কর্ককর্তা-কর্মচারীরা জানিয়েছেন।