বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় এ অভিযান চালানো হয় বলে জানান কোস্ট গার্ডের সেন্টমার্টিন স্টেশনের ইনচার্জ লেফটেন্যান্ট জুসেল রানা।
দালাল সন্দেহে আটকরা হলেন টেকনাফ উপজেলার সদর ইউনিয়নের নাইট্যং পাড়ার মৃত হোসেন আহমদের ছেলে মোহাম্মদ রুবেল এবং উখিয়ার কুতুপালং ৬ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা হাবিব উল্লাহর ছেলে ওমর ফারুক।
উদ্ধার ৫৮ রোহিঙ্গার মধ্যে ২০ জন পুরুষ, ২৮ জন নারী ও ১০ জন শিশু রয়েছে বলে জানান কোস্ট গার্ডের এই কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গারা বিভিন্ন উপায়ে প্রায়ই নদী ও আকাশপথে বিদেশে পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা চালায়। এরমধ্যে কিছু কিছু ধরা পড়ে।
জুসেল রানা বলেন, উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে পুরুষ ছাড়াও নারী ও শিশু রয়েছে। ট্রলারটি কোস্ট গার্ডের সেন্টমার্টিন স্টেশনে নিয়ে আসা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ একটি চক্র ট্রলারে করে বড় জাহাজে তুলে দিতে তাদের মালয়েশিয়া পাচারের উদ্দ্যেশে নিয়ে যাচ্ছিল।
রানা বলেন, সকাল ৯টায় সেন্টমার্টিন উপকূলবর্তী সাগরে মাছ ধরার ট্রলারে করে কিছু লোক মালয়েশিয়া পাচারের উদ্দ্যেশে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে খবরে কোস্ট গার্ডের একটি দল অভিযান চালায়।
“নয় ঘণ্টারও বেশি সময় সাগরে তাদের নজরদারিতে রাখার পর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ট্রলারটি জব্দ করা সম্ভব হয়।”
জুসেল রানা আরও জানান, ট্রলারটি এখনও সাগরে রয়েছে। সেটিকে উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গারাসহ কোস্ট গার্ডের সেন্টমার্টিন স্টেশনে নিয়ে আসা হচ্ছে।
কোস্ট গার্ড স্টেশনে আনার পরই উদ্ধার হওয়াদের প্রকৃত সংখ্যা এবং পাচারের সঠিক তথ্য জানানো সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।
এর আগে গত ১৪ মে কক্সবাজার শহরের দরিয়ানগর বড়ছড়া এলাকা থেকে ৩৪ জন রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করা হয়। তারাও মালয়েশিয়া যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল বলে পুলিশের ভাষ্য।
এর তিনদিন পর ১৭ মে মধ্যরাতে সেইন্ট মার্টিন দ্বীপের দক্ষিণ সৈকত এলাকা ও পেকুয়া উপজেলার উজানটিয়া করিমদাদ মিয়া ঘাট থেকে কোস্ট গার্ড ৮৪ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার এবং পাচারকারী সন্দেহে পাঁচ ব্যক্তিকে আটক করেছে।
এরপর ২০ মে রাতে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে তিন রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করা হয়েছে, যাদের ভারতে পাচার করা হচ্ছিল বলে পুলিশের ভাষ্য।
সর্বশেষ গত শনিবার প্রথম প্রহরে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দুই রোহিঙ্গা নারী সৌদি আরবগামী কুয়েত এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে উঠে পড়ে, পরে যাদের পুলিশ গ্রেপ্তার করে।