বুধবার জেলা ও দায়রা জজ আনিসুর রহমান এক বছর আগের আলোচিত এ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন।
কালীর বাজারের ভোলানাথ জুয়েলার্সের মালিক প্রবীরের সঙ্গে ওই এলাকার পিন্টু শিল্পালয়ের মালিক পিন্টুর ব্যবসায়িক লেনদেন ছিল, ছিল বন্ধুত্ব। নারায়ণগঞ্জ শহরের আমলাপাড়ার বাসিন্দা পিন্টু রায় ঘোষণার সময় কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
পিন্টুকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার পাশাপাশি হত্যাকাণ্ডে সহযোগিতার দায়ে তার দোকানের কর্মচারী বাপেন ভৌমিককে সাত বছরের কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছে আদালত। জরিমানার টাকা না দিলে তাকে আরও ৬ মাস জেলে থাকতে হবে।
তবে হত্যাকাণ্ডে প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অপর আসামি আব্দুল্লাহ আল মামুনকে আদালত খালাস দিয়েছে বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ওয়াজেদ আলী খোকন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১৮ জুন রাতে প্রবীর নিখোঁজ হন। অনেক খোঁজাখঁজির পরও প্রবীরের কোনো হদিস না মেলায় তার বাবা ভোলানাথ নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা করেন।
মামলাটি জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হলে সন্দেহভাজন হিসেবে পিন্টু ও বাপেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা ব্যবসায়িক লেনদেনে বিরোধ থেকে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেন।
পিন্টু দেবনাথের দেওয়া তথ্যে হত্যাকাণ্ডের ২১ দিন পর শহরের আমলাপাড়ায় তার বাসার সেপটিক ট্যাংক থেকে তিনটি বস্তায় প্রবীরের পাঁচ টুকরা লাশ উদ্ধার করা হয়। আর তার পরদিন আমলাপাড়া কেসি রোড এলাকার নর্দমায় পাওয়া যায় প্রবীরের দুটি পা।
পরে নারায়ণগঞ্জের বিচারিক হাকিম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন পিন্টু। তদন্ত শেষে পুলিশ পিন্টু ও বাপেন এবং স্থানীয় আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দিলে এ মামলার বিচারকাজ শুরু হয়।