জেলার লোহাগড়া পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. আনিসুর রহমান জানান, পৌর এলাকার পোদ্দারপাড়া গ্রামের চিত্তরঞ্জন রায়ের বিধবা স্ত্রী শেফালী রায়কে নির্যাতনের খবর তিনি শুনেছেন।
শেফালী এখন পোদ্দারপাড়া সর্বজনীন মন্দিরে আছেন।
খবর পেয়ে সাংবাদিকরা ওই মন্দিরে গেলে শেফালী বলেন, তার এক ছেলে বিশ্বনাথ রায় যশোরের ঢাকা রোডে মোটর পার্টসের ব্যবসা করেন। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে তিনি সেখানে ভাড়া বাসায় থাকেন। বড় ছেলে শংকর রায় কৃষিব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। প্রায় অর্ধকোটি টাকার পৈতৃক ভিটায় দ্বিতল ভবনে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বসবাস করছেন। চার মেয়ে স্বামী-সন্তান নিয়ে ভালো আছেন।
“তারা কেউ আমার দায়িত্ব নিতে চায় না। ছেলে শংকর ও তার স্ত্রী আমাকে প্রায়ই নির্যাতন করে। ঠিকমত খেতেও দেয় না। তারা আমাকে সোমবার রাতে জানিয়ে দিয়েছে, ভোরের আগেই বাড়ি থেকে চলে যেতে হবে। না হলে মেরে ফেলবে। তাই মঙ্গলবার প্রাণ ভয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে এসে এই মন্দিরে আশ্রয় নিই। তারা কেউ আমাকে দেখতে আসেনি। আমি আমার স্বামীর ভিটায় ফিরে যেতে চাই।”
কথা বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন শেফালী।
তবে শংকর রায় অভিযোগ অস্বীকার করেছন।
তিনি মন্দিরে এসে সাংবাদিকদের বলেন, “মা রাগ করে কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে এসে মন্দিরে আশ্রয় নিয়েছে। আমি মাকে বাড়ি নেওয়ার জন্য এসেছি।”
কাউন্সিলর আনিসুর বলেন, “বিষয়টি আমি শুনেছি। ওই মাকে তার ছেলে ও ছেলেবউ প্রায় নির্যাতন করতেন বলে শুনেছি। বিষয়টি এখন আমরা দেখছি।”
লোহাগড়া থানার ওসি মোকাররম হোসেন বলেন, “এমন কোনো ঘটনার সংবাদ আমার জানা নেই।”