গত বৃহস্পতিবার রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক অমূল্য চন্দ্র সাহা এ আদেশ দেন।
স্টোর কিপার সাহেদুল হক ছোটনকে লালমনিরহাট সদর হাসপাতাল থেকে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট একাধিক ব্যক্তি জানান, ২০১৮-১৯ অর্থবছরের ওষুধ সরবরাহের দরপত্র আহবান প্রক্রিয়ার কাজ শুরু হলে কর্মকর্তারা আগের অর্থবছরের (২০১৭-১৮) ওষুধের স্টক রেজিস্টারে কিছু অসংগতি দেখতে পান।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. গোলাম মোহাম্মদ জানান, সরবারাহ বইসহ অন্য কাগজপত্রে ওভাররাইটিং ও লেখা কাটাকাটি দেখতে পেয়ে গত ৩০ এপ্রিল তিনি হাসপাতালের সিনিয়র কনসালট্যান্ট (মেডিসিন) আব্দুল বাসেতকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট স্টক সার্ভে কমিটি গঠন করে দেন।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) আমিনুর রহমান ও সিনিয়র কনসালট্যান্ট (সার্জারি) আব্দুল হাদী।
গোলাম মোহাম্মদ বলেন, এই কমিটি গত বুধবার (২২ মে) হাসপাতালের স্টোরে ৩৪ পদের ওষুধের হিসাবে গরমিল আছে মর্মে লিখিত প্রতিবেদন দাখিল করে।
তবে যে ওষুধের হিসাবে (২০১৭-১৮ অর্থবছরে সরবরাহ করা) গরমিল হয়েছে ওই সময়ে তিনি এ পদে কর্মরত ছিলেন না বলে গোলাম মোহাম্মদ জানান।
কী পরিমাণ মূল্যের ওষুধে গরমিল পাওয়া গেছে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, তদন্ত কমিটি ওষুধের গরমিলের বিষয়টি উল্লেখ করেছে। বিভাগীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। ঈদের পর কমিটি কাজ শুরু করবে। তাদের মাধ্যমে বিষয়টি পরিষ্কার হবে।
লালমনিরহাট সচেতন নাগরিক কমিটির (সনাক) সভাপতি রফিকুল আলম খান স্বপন বলেন, হাসপাতালে আসা রোগী সাধারণ ওষুধ পায় না। একটি চক্র দীর্ঘদিন থেকে ওষুধ পাচার করে আসছে।
তিনি এ ঘটনার সঠিক তদন্তের জন্য দুদকের সংশ্লিষ্টতা দাবি করেন।
এ ব্যাপারে মঙ্গলবার স্টোর কিপার সাহেদুল হক ছোটনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।