এর আগেও নার্সসহ কয়েকজন আহত হয়েছেন। আতঙ্কে রয়েছেন হাসপাতালের লোকজন। কর্তৃপক্ষ বলছে, নতুন ভবনের নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে।
সোমবার বিকালে চিকিৎসাধীন স্বজনকে দেখতে এসে উপজেলার মাঝবাড়ি গ্রামের উজ্জ্বল মোল্লার ছেলে তামিম মোল্লা (৭), তামিমের খালা কুলসুম (১৯) ও খালাত বোন শারমিন খানম (৬) আহত হয়।
হাসপতালের জ্যেষ্ঠ স্টাফ নার্স বর্ণালী রায় বলেন, তিনজনের মধ্যে একটি শিশুর মাথা কেটে রক্ত পড়ছিল। আমি মাথা চেপে ধারে তাকে জরুরি বিভাগে নিয়ে ব্যান্ডেজ করে দেই।
“এর আগে ফ্যান খুলে পড়ে এক নার্স আহত হয়েছেন। এছাড়া ছাদের পলেস্তারা প্রায়ই খসে পড়ে। এতে অনেকে আহত হয়েছেন। আমরা মারাত্ম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছি। এখন রোগী এলোমেলো করে বারান্দা ও ফ্লোরে রাখা হয়েছে। হাতে ফাইল নিয়ে রোগীকে নাম ধরে খুঁজে বের করতে হয়। ঝুঁকির মধ্যে কাজ করতে হচ্ছে।”
রোগী দেখতে আসা কোটালীপাড়া উপজেলার মধ্য হিরণ গ্রামের পারভীন বেগম বলেন, “হাসপতালে আমরা আসি জীবন রক্ষা করতে। কিন্তু এখানে এসে দেখছি ভবনের বেহাল দশা। এখানে চিকিৎসক, নার্স, রোগীসহ হাসপতালের সবাই ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন।”
রোগীর স্বজন করিমন বেগম বলেন, “বারন্দায় ফ্যান নেই। গরমে আমদের রোগীর প্রচণ্ড কষ্ট হচ্ছে।”
এ বিষয়ে হাসপাতালের চিকিৎসক সুশান্ত বৈদ্য বলেন, “ওই শিশুটিকে সব ধরনের সহায়তার পাশাপাশি চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আমরা ওষুধেরও ব্যবস্থা করে দিয়েছি। তার অবস্থা আশংকামুক্ত।
“ঝুঁকিপূর্ণ দুই ওয়ার্ড থেকে রোগী সরিয়ে বারন্দা ও ফ্লোরে রাখা হয়েছে। হাসপতালের নতুন ভবনের কাজ শুরু হয়েছে। সেখানে রোগী স্থানাস্তর করতে পারলে সবাই ঝুঁকিমুক্ত হবেন।”
তবে কবে নাগাদ কাজ শেষ হবে তা তিনি বলতে পারেননি।