উপজেলার হারুগাতি গ্রামের এ ঘটনায় সোমবার ভোরের দিকে পুলিশ তিনজনকে আটক করেছে বলে জানিয়েছেন পুঠিয়া থানার ওসি সাকিল আহমেদ।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহমুদুল হাসান বলেন, ওই এলাকার এক কিশোরীর সঙ্গে রাজশাহী কলেজের ইতিহাস বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র হায়দার আলীর প্রেমের সম্পর্ক হয়।
“পরে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে হায়দার কিশোরীকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ ওঠে। তাকে তার বন্ধু নাদিম মোস্তফা ও রবিন হোসেন সহযোগিতা করেন বলেও অভিযোগ। এলাকাবাসী জানতে পেরে তিন বন্ধুকে মারধর করে। খবর পেয়ে পুলিশ তিন বন্ধুকে আটক করতে গেলে গ্রামবাসী বাধা দেয়। গ্রামবাসী স্থানীয় সালিশে তাদের বিচার করতে চেয়েছিল।”
গ্রামবাসী এ সময় পুলিশের গাড়ির হাওয়া ছেড়ে দিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখার পাশাপাশি নারী পুলিশ সদস্যদের লাঞ্ছিত করে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে।
ভোরের দিকে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ওসি সাকিল বলেন, “গ্রামবাসীর মারধরে হায়দার আহত হওয়ায় তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। হায়দারসহ তিন বন্ধু ও ওই কিশোরী পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।
“এ ঘটনায় কিশোরীর বাবা ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন। মেয়েটিকে পরীক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।”
পুলিশের কাজে বাধা দেওয়া সম্পর্কে তিনি বলেন, “সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে পুঠিয়া থানার পুলিশের পক্ষ থেকে আরও একটি মামলা করা হবে। পরে ঘটনা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।”