শার্শায় দুই সন্তানসহ গৃহবধূর লাশ উদ্ধার, শ্বশুর-শাশুড়িসহ আটক ৩

যশোরের শার্শা উপজেলায় পারিবারিক কলহের জের ধরে নির্যাতনের পর এক গৃহবধূ ও তার দুই শিশু সন্তানের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বেনাপোল প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 May 2019, 04:50 AM
Updated : 27 May 2019, 08:49 AM

শ্বশুর-শাশুড়ি নির্যাতনের পর তাকে হত্যা করে আত্মহত্যা হিসেবে প্রচার চালাচ্ছে বলে ওই গৃহবধূর স্বজনরা অভিযোগ করেছেন।

গত রোববার রাতে উপজেলার কায়বা ইউনিয়নের দীঘা চালিতাবাড়িয়া গ্রামের এ ঘটনায় শ্বশুর-শাশুড়িসহ তিন জনকে আটক করা হয়েছে বলে বাগআঁচড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক (তদন্ত) সুখদেব রায় জানিয়েছেন।

নিহতরা হলেন- উপজেলার কায়বা ইউনিয়নের দীঘা চালিতাবাড়িয়া গ্রামের ইব্রাহিমের স্ত্রী হামিদা খাতুন (৩৫), মেয়ে শারিফা খাতুন (১২) ও ছেলে সোহান সেন (৫)।

কায়বা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নুর মোহাম্মদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ইব্রাহিম ইউনিয়ন পরিষদ অফিসের কাছে চায়ের দোকান দিয়ে সংসার চালাতেন। দোকানের পাশেই ঘর বেঁধে সপরিবারে বসবাস করতেন।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, “রোববার ইব্রাহিম ও হামিদা পারিবারিক কলহে জড়িয়ে দিনভর গণ্ডগোল করে। এক পর্যায়ে শ্বাশুড়ি মরিয়ম বেগম ওরফে জামিলা হামিদাকে মারধর করলে রাগে-ক্ষোভে দুই সন্তানকে নিয়ে তিনি ‘বিষ ট্যাবলেট’ খেয়ে আত্নহত্যা করেন।”

পুলিশ পরিদর্শক সুখদেব বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, রাতে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

“পারিবারিক কলহকে আত্নহত্যার কারণ হিসেবে ধারণা করা হচ্ছে তবে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইব্রাহিমের বাবা আরাফাত হোসেন (৬০), মা মরিয়ম বেগম (৪৫) ও প্রতিবেশী ছিদ্দিক হোসেনকে (৫০) আটক করা হয়েছে।”

নিহত হামিদার বাবা অহেদ আলি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মেয়েকে তার শ্বশুর-শাশুড়ি নির্যাতন করে মেরে আত্মহত্যা বলে প্রচার করছে। প্রতিবেশী ছিদ্দিকের সাথে হামিদার শাশুড়ি মরিয়ম বেগমের অবৈধ সম্পর্ক ছিল। এটা জেনে ফেলায় আমার মেয়ের জন্য কাল হয়েছে। আমি এঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।”

নাভারন সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।