সাতক্ষীরায় শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস, ২১ জনের সাজা

সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলায় প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অপরাধে ২১ জনকে সাজা দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালতে।

সাতক্ষীরা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 May 2019, 10:56 AM
Updated : 24 May 2019, 10:56 AM

র‌্যাব ৬-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সৈয়দ নূর সালেহীন জানান, শুক্রবার সকালে কলারোয়া থানার পাশে সোনালী সুপার মার্কেটের কিডস কোচিং সেন্টারের ব্ল্যাক বোর্ডে ফাঁস করা প্রশ্নের উত্তর লিখে দেওয়ার সময় তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতদের মধ্যে পাঁচজন হলেন কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার পরানখালি গ্রামের আহসান আলীর ছেলে আব্দুল হালিম, সাতক্ষীরার কলারোয়ার ঝাপাঘাটা গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে জনতা ব্যাংকের একটি শাখার ব্যবস্থাপক আফতাবুজ্জামান, একই গ্রামের আব্দুল আলিমের ছেলে শিক্ষক আমিরুল ইসলাম, আশাশুনি উপজেলার চেউটিয়া গ্রামের আব্দুল ওহাবের ছেলে কৃষি ব্যাংকের একটি শাখার ব্যবস্থাপক মনিরুল ইসলাম, একই উপজেলার কাকবাশিয়া গ্রামের রইছ উদ্দীনের ছেলে শিক্ষক তরিকুল ইসলাম।

র‌্যাব কর্মকর্তা সালেহীন বলেন, “এই পাঁচজন প্রশ্নপত্র ফাঁসচক্রের হোতা। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোনালী সুপার মার্কেট এলাকায় অভিযান চালিয়ে সাত নারীসহ ২৮ জনকে আটক করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তালা উপজেলার ধানদিয়া এলাকা থেকে আব্দুল হালিম নামের একজনকে আটক করা হয়।

“তাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করলে বিচারক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আমিনুর রহমান ২১ জনকে দুই বছর করে কারাদণ্ড দেন। বাকি আটজন ছিলেন অভিভাবক। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ না পাওয়ায় ছেড়ে দেওয়া হয়।”

র‌্যাব কর্মকর্তা সালেহীন আরও বলেন, “জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পেরেছি ঢাকায় বসে একটি চক্র ১২ লাখ টাকার চুক্তিতে তাদের কাছে প্রশ্ন ও উত্তর বলে দেবে। এসব প্রশ্ন ও উত্তর ব্লাক বোর্ডে লিখে পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার সময় তাদের আটক করা হয়।

“এ জন্য সিন্ডিকেটের হাতে অগ্রিম পাঁচ লাখ টাকা দিতে হয়েছে পরীক্ষার্থীদের। বাকি টাকা পরীক্ষা শেষে দেওয়ার কথা ছিল। প্রতারক চক্রটির কাছ থেকে যে প্রশ্নপত্র উদ্ধার করা হয়েছে তার সঙ্গে মূল প্রশ্নের হুবহু মিল রয়েছে।”