জেলা পুলিশ লাইন্সের মোক্তার হোসেনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেছে শহরের টিবি ক্লিনিক সড়ক এলাকার ওই ছাত্রী।
তাকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
চিকিৎসাধীন ওই ছাত্রী সাংবাদিকদের বলেন, “মোক্তার আমাকে তার ঘরে ডেকে নিয়ে দরজা বন্ধ করে খারাপ কাজ করার চেষ্টা করেন। সে সময় স্থানীয়রা বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দেয়। তখন মোক্তার আমাকে ভেন্টিলেটর দিয়ে ফেলে দেয়। এতে আমার পায়ের হাড় ভেঙ্গে গেছে।”
পায়ের হাড় ভেঙে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন হাসপাতালের চিকিৎসক মফিজুল ইসলাম লেলিনও।
তিনি বলেন, “তার এক পায়ের হাড় ভেঙ্গে গেছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। পুরোপুলি সেরে উঠতে কমপক্ষে তিন মাস সময় লাগবে।”
তবে মোক্তার এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
তিনি বলেন, “আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আমাকে শুধু শুধু স্থানীয়রা ঘরের বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দিয়েছিল। ওই মেয়ের সঙ্গে আমার কিছু হয়নি।”
সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. বদরুল আলম মোল্লা হাসপাতালে গিয়ে ওই ছাত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন।
বদরুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, “মেয়েটির পরিবারকে সকল আইনগত সহযোগিতা দিচ্ছি। যে পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মৌখিকভাবে অভিযোগ করা হয়েছে তারও তদন্ত আমরা গুরুত্বসহকারে করছি। তদন্তে দোষী প্রামাণিত হলে পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”