খুলনায় সংগীত শিল্পীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

খুলনার রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী ফারহানা ইয়াসমিন শাওনের ঝুলন্ত মরদেহ পাওয়া গেছে।

রোববার দুপুরে নগরীর নিরালার কাশেম নগরের ভাড়া বাসা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয় বলে সদর থানার ওসি হুমায়ুন কবীর জানিয়েছেন।

ফারহানা ইয়াসমিন শাওন (৩৬) খুলনা নগরীর নিরালা আলকাতরা মিল এলাকার শেখ আব্দুল হকের মেয়ে। কাশেম নগর এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় শাহানা আলিমা নামের এক নারীর সঙ্গে থাকতেন তিনি।

শাওন বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনের রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী ছিলেন। তিনি জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদের ডুমুরিয়া উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও ডুমুরিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা ছিলেন। 

শাহানা আলিমা সাংবাদিকদের বলেন, সকালে ঘুম থেকে উঠে তিনি শাওনকে মানসিকভাবে কিছুটা বিপর্যস্ত দেখেন। দুজনে কিছুক্ষণ কথা বলার পর যে যার কক্ষে চলে যান। শাওনের ঘর থেকে কোনো শব্দ না আসায় তিনি ডাকাডাকি করেন। পরে আশপাশের বাড়ি থেকে অন্যরা এসে কাচের দরজা ভেঙে শাওনকে উদ্ধার করে দ্রুত খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

শাওনের সহকর্মী লিটন ঢালী বলেন, ছয় মাস আগে স্বামী অপু খানের সঙ্গে শাওনের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। এ নিয়ে মানসিকভাবে তিনি কিছুটা বিপর্যস্ত ছিলেন। বাবার বাড়ি পাশে হলেও তিনি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষক শাহানা আলিমার সঙ্গে কাশিমনগর এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।

জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদের খুলনা শাখার সহ-সভাপতি মিনা মিজানুর রহমান বলেন, “ফারহানা ইয়াসমিন শাওন নগরীর কাশেম নগরের ভাড়া বাসায় দুপুরে একা থাকা অবস্থায় ফ্যানের সঙ্গে নিজের ওড়না পেঁচিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।”

খুলনা সদর থানার ওসি হুমায়ুন কবীর বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে মানসিকভাবে কিছুটা খারাপ থাকায় শাওন প্রায়ই ঘুমের ওষুধ খেতেন। পরিবার ও বন্ধুদের পক্ষ থেকে একাধিকবার তাকে ঘুমের ওষুধ খেতে নিষেধ করা হয়েছিল; কিন্তু তিনি শুনতেন না।

প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা বলেই মনে হচ্ছে। তারপরও সঠিক কারণ খুঁজে বের করতে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে ওসি জানান।