সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জিএম তুষারের হাতের চার আঙুল কেটে নেওয়ার মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় তুষারের চাচা আবুসিদ্দিক বাদী হয়ে সাতজনকে আসামি করে রোববার কলারোয়া থানায় মামলাটি দায়ের করেন বলে কলারোয়া থানার ওসি মো.মনিরুজ্জামান জানান।
আসামিরা হলেন উপজেলার দিগং গ্রামের মৃত আফিল উদ্দীন ঢালীর ছেলে রেজাউল ইসলাম (৪৫), আলাল ঢালীর ছেলে মন্টু ঢালী (৩২), লোহাকুড়া গ্রামের সেলিম হোসেনের ছেলে বাবু (২৭), পরানপুর গ্রামের মোশারফ শেখের ছেলে শেখ মেহেদী হাসান নাইস ওরফে নাইস শেখ (২৮), আলাইপুর গ্রামের আবুল ফজর মেম্বরের ছেলে সাগর হোসেন (২২), মৃত শেখ শাহীনের ছেলে শেখ পলাশ (২৭) এবং একই গ্রামের রিজু (২৮)।
এদের মধ্যে রেজাউল ইসলামকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেরিনা আক্তার বলেন, কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র রোডের একটি মার্কেটের পেছন থেকে রোববার সকাল ১০টার দিকে রেজাউল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শনিবার রাতে তুষারের ডান হাতের চার আঙুল কেটে বিচ্ছিন্ন করে একদল হামলাকারী,যাদের নেতৃত্বে বর্তমান উপজেলা সাধারণ সম্পাদক শেখ মেহেদী হাসান নাইস রয়েছেন বলে তুষারের পরিবারের অভিযোগ। তবে নাইস এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
আহত জি এম তুষার কলারোয়ার পাটুরিয়া গ্রামের মুনসুর গাজীর ছেলে। এলাকায় একটি ইলেকট্রনিক্সের দোকান চালান তিনি। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে।
এ ঘটনার পর রাতেই কলারোয়া উপজেলা ছাত্রলীগ কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে সংগঠনের জেলা কমিটি।
মামলার বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে বলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান।
তুষারের হাতে অস্ত্রোপচার
কেটে বিচ্ছিন্ন করা চারটি আঙুল জোড়া লাগানোর জন্য জি এম তুষারের হাতে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে।
তুষারের চাচাত ভাই জি এম আব্দুল্লাহ আল ইমাম লাল্টু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, রাজধানীর সাতমসজিদ রোডে আল মানার হাসপাতালে শনিবার ইফতারের পর শুরু করে রোববার ভোর পর্যন্ত তুষারের হাতে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে।
“তার ডান হাতের চারটি আঙুল জোড়া লাগানো হয়েছে। তবে অপারেশন সফল হবে কি না তা এক সপ্তাহ পার না হলে বলা যাবে না।”
আল মানার হাসপাতালে ডা. সাজেদুল রেজা ফারুকীর তত্ত্বাবধায়নে তুষার চিকিৎসাধীন বলে লাল্টু জানান।