কিশোরগঞ্জের নার্সকে ধর্ষণ-হত্যা: বাসের হেলপারের জবানবন্দি

চলন্ত বাসে ধর্ষণের পর নার্সকে হত্যার মামলায় আটক চালকের সহকারী লালন মিয়া দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 May 2019, 04:49 PM
Updated : 14 May 2019, 04:50 PM

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম আল মামুনের খাস কামরায় লালন মিয়া ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।

জবানবন্দিতে ধর্ষণে তিনিসহ তিনজনের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন বলে জানান আদালত পুলিশের পরিদর্শক তৌফিকুল ইসলাম।

জবানবন্দি শেষে তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানান।

এর আগে গত ১১ মে এ মামলার প্রধান আসামি বাস চালক নূরুজ্জামান নূরু আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। 

তারা তিনজনে মিলে মেয়েটিকে ধর্ষণ করার কথা নুরুজ্জামান স্বীকার করেছেন বলে সেদিন পুলিশ জানিয়েছিল।

গত ৮ মে এই ধর্ষণ ও হত্যার মামলায় আটক পাঁচ আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন জেলার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম আল মামুন।

ঢাকায় ইবনে সিনা হাসপাতালের এই নার্স গত গত ৬ মে বিকালে বাড়ি আসার জন্য ঢাকার মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে স্বর্ণলতা পরিবহনের একটি বাসযোগে রওয়ানা হন ওই নার্স।

কিশোরগঞ্জ-ভৈরব সড়কের বাজিতপুর উপজেলার পিরিজপুর ইউনিয়নের বিলপাড় গজারিয়া জামতলী এলাকায় চলন্ত বাস থেকে ফেলে দেয় ওই নার্সকে। মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধারের পর রাত পৌনে ১১টার দিকে কটিয়াদি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এই ঘটনায় ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে নিহত নার্সের বাবা বাদী হয়ে পাঁচজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয় আরও কয়েকজনকে আসামি করে বাজিতপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।