সরজমিনে দেখা গেছে. মোংলা, রামপাল, মোরেলগঞ্জ, কচুয়া ও চিতলমারী উপজেলার বাসিন্দাদের ভূ-উপরিস্থ পুকুরের পানি অথবা বৃষ্টির পানির উপর নির্ভর করতে হয়।
ওই পাঁচ উপজেলার অনেক পুকুরের পিএসএফ (পন্ড স্যান্ড ফিল্টার) অকেজো পড়ে আছে। ফলে বাসিন্দাদের কয়েক কিলোমিটার দূরে কচুয়া উপজেলা সদর, রামপাল উপজেলার জলকুড় দিঘি, রামপাল উপজেলা সদর প্রসাশনের দিঘি ও মোংলা উপজেলা মিঠাখালী থেকে পানি সংগ্রহ করতে হচ্ছে।
এ সমস্যা সমাধানে নতুন পুকুর খনন করে সুপেয় পানি সরবরাহ করার কাজ চলছে বলে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ থেকে দাবি করা হলেও লবণাক্ত হওয়ায় ওই সব পুকুরের পানি পান করা যায় না বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
কচুয়া উপজেলার সাংদিয়া গ্রামের সুব্রত মুখার্জী বলেন, সাংদিয়া গ্রামে জেলা পরিষদের মালিকানাধীন দুটি পুকুর রয়েছে। এই পুকুর থেকে সাংদিয়াসহ আশপাশের আরও অন্তত তিনটি গ্রামের মানুষ খাবার পানি সংগ্রহ করে।
“সম্প্রতি এই পুকুর দুটি খনন করা হয়েছে। এর মধ্যে একটিতে পানি নেই। আর অন্যটি খনন করে তাতে নদীর লবণ পানি তোলা হয়েছে। এই গ্রামের মানুষকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূর থেকে পানি সংগ্রহ করতে হচ্ছে। আমাদের এই দুর্ভোগ দেখার কেউ নেই।”
তিনি বলেন, “এই উপকূলীয় এলাকার মানুষদের নিরাপদ পানি সরবরাহের লক্ষ্যে সরকার দুটি প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১০৮টি পুকুর খনন করছে। জুনে এসব পুকুরের খননকাজ শেষ হবে।”
কাজ শেষ হলে এই এলাকার মানুষের নিরাপদ পানির সংকট অনেকটাই লাঘব হবে বলে তার আশার কথা জানান এই প্রকৌশলী।