সোমবার বড়গাঁও ইউনিয়নের কিসামত চামেশ্বরী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে বলে ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি আশিকুর রহমান জানিয়েছেন।
ওই গৃহবধূকে (৩০) ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
হাসপাতালের চিকিৎসক রোকেয়া সাত্তার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সোমবার সকাল ৬টা ৫০ মিনিটে ওই গৃহবধূকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
“বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করার পর সেগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে; রিপোর্ট পেলেই বোঝা যাবে গৃহবধূ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন কিনা।”
চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই নারী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে প্রতিবেশী হারুন-অর-রশিদসহ (৩৫) তার তিন বন্ধু ময়নুল (৪০), শাহিন (৩০) ও খয়রুল ইসলাম (৬০) তাদেরর বাড়ির আশপাশে ঘোরাফেরা করছিলেন।
“রোববার আমার স্বামী কাজের উদ্দেশ্যে টাঙ্গাইলে চলে গেলে বাড়িতে শুধু আমি ও আমার ছোট ছেলে-মেয়ে ছিলাম।”
তিনি বলেন, তার স্বামীর অনুপস্থিতির সুযোগে সোমবার ভোর রাতে হারুন-অর-রশিদসহ তার তিন বন্ধু ময়নুল, শাহিন ও খয়রুল তার শয়নকক্ষের দরজা কেটে ঘরে ঢোকেন।
“এরপর ওই চারজনই আমার হাত-পা ও মুখ চেপে ধরে এবং প্রথমে হারুন আমাকে ধর্ষণ করে। এরপর পর্যায়ক্রমে অন্যরাও আমাকে ধর্ষণ করে।
“এক পর্যায়ে ঘুম থেকে উঠে আমার ছেলে (১১) চিৎকার শুরু করলে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে; এর আগেই ধর্ষকরা পালিয়ে যায়।”
সদর থানার ওসি আশিকুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, খবর পাওয়ার পর তারা হাসপাতালে গিয়ে ওই গৃহবধূর বক্তব্য সংগ্রহ করেছেন।
থানায় লিখিত অভিযোগ পেলে আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।