রোববার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা, ফল গবেষক, আম চাষি ও আম ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিয়ম শেষে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
পরে রাজশাহী জেলা প্রশাসক এসএম আব্দুল কাদের সেটি ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, প্রশাসনের বেঁধে দেওয়া সময় অনুযায়ী আগামী ১৫ মে-এর পরে গুটি আম পাড়া যাবে। ২০ মে-এর আগে গোপালভোগ গাছ থেকে নামানো যাবে না। লক্ষণভোগ ও লখনা ২৫ মে এবং হিমসাগর ও খিরসাপাত ২৮ মে-এর পর পাড়া যাবে। ৬ জুনের পর পাড়া যাবে ল্যাংড়া ও বোম্বাই। আর ফজলি, সুরমা ফজলি ও আম্রপালি ১৬ জুন এবং আশ্বিনা আম ১ জুলাইয়ের আগে চাষিরা গাছ থেকে নামাতে পারবে না।
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, “আমে রাসায়নিক ব্যবহার প্রতিরোধে আম নামানোর সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। তবে কোনো গাছে আম যদি আগে পেকে যায় তখন প্রশাসনকে জানিয়ে তা নামানোর ব্যবস্থা করা যাবে।”
আব্দুল কাদের বলেন, “রাজশাহীর আমে কখনও ফরমালিন মেশানো হয় না। কৃত্রিমভাবেও আম পাকানোও হয় না; কিন্তু যখন বাজারে অনেক আগে কিংবা পরে আম পাওয়া যায়। তখন অনেকেই মনে করেন যে আমে কেমিক্যাল দেওয়া আছে। ক্রেতাদের এই ভীতি দূর করতেই আম পাড়ার একটা নির্দিষ্ট সময় ঠিক করে নেওয়া হলো।”
এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় সবার আগে চাষিদের স্বার্থ রক্ষা হচ্ছে কিনা তা বিবেচনা করে দেখা হয়েছে বলে জেলা প্রশাসক জানান।
তিনি আরও বলেন, বেঁধে দেওয়া সময় অনুযায়ী আম নামানো হচ্ছে কিনা তা মনিটরিং করা হবে। এজন্য প্রতিটি উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও কৃষি কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে মনিটরিং কমিটি গঠন করা হচ্ছে।
নির্দিষ্ট সময়ের আগে আম পাড়া হলে এই কমিটি ব্যবস্থা নেবে। আর চাষি ও ব্যবসায়ীদের সব সুযোগ-সুবিধা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসন কাজ করবে বলে তিনি জানান।
সভায় পুলিশ সুপার মো. শহিদুল্লাহ, ফল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আব্দুল আলিম, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তারের উপ-পরিচালক ছামসুল হক ছাড়াও নয় উপজেলা চেয়ারম্যান ও নির্বাহী কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।