চাঁদপুরে ‘৪ জনের ধর্ষণে’ কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা, দুজন গ্রেপ্তার

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলায় চারজনের ধর্ষণে এক কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় এক ইউপি সদস্যসহ দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

চাঁদপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 May 2019, 05:50 PM
Updated : 11 May 2019, 02:17 PM

হাজীগঞ্জ থানার ওসি মো. আলমগীর হোসেন জানান, উপজেলার দক্ষিণ গন্ধর্বপুর ইউনিয়নের এ ঘটনায় ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

আসামিরা হলেন- ওই ইউনিয়নের ভাটরা শিবপুর গ্রামের মো. রাব্বি (১৮), মো. মেহরাজ (২০), মো. এমরান হোসেন (১৯), মো. আরফিন (২০), অহিদুল ইসলাম (৬০) ও মোস্তফা কামাল (৬৫)।

গ্রেপ্তাররা হলেন মো. ইমরান হোসেন, মো. আরফিন এবং গন্ধর্বপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য অহিদুল ইসলাম।

কিশোরীর অভিযোগ, চারজন তাকে বিভিন্ন সময় ভয়ভীতি দেখিয়ে ও বিয়ের প্রলোভন দিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। অপর দুজন ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেস্টা করেছেন।

এক সময় অসুস্থ হলে তার মা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। তখন অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি ধরা পড়ে। জিজ্ঞাসাবাদে অভয় দেওয়া হলে কিশোরী চারজনের নাম বলেন।

পরে সালিশ বসিয়ে মাতব্বররা চারজনকে ৫ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

গন্ধর্বপুর ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ওহিদুল ইসলাম বলেন, “সব টাকা ব্যাংকে জমা আছে।”

তবে কার নামে জমা আছে সে বিষয়ে তিনি কিছু বলেননি।

তিনি বলেন, “শনিবার একটি ছেলের সঙ্গে তার বিয়ের কথা ছিল। কিন্তু শুক্রবার বিকেলে পুলিশ এসে মেয়েটিকে থানায় নিয়ে যায়। তাই আর বিয়ে হচ্ছে না।”

কার সঙ্গে কারা বিয়ে ঠিক করেছিল সে বিষয়ে তিনি কিছু বলেননি।

মামলা না করে শালিস করার কথা স্বীকার করেছেন এলাকার মাতব্বর মো. মোস্তফা কামাল।

তিনি বলেন, “আমরা এলাকায় শালিস করেছি। চার যুবককে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।”

ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. গিয়াস উদ্দিন বাচ্চু ওই কিশোরীর ‘অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি’ শুনেছেন বলে জানালেও বিস্তারিত জানেন না বলে দাবি করেছেন।

ওসি আলমগীর বলেন, ধর্ষণের খবর পেয়ে পুলিশ কিশোরীকে থানা হেফাজতে নিয়ে আসে। এ ঘটনায় কিশোরী নিজে বাদী হয়ে চারজনের নামে ধর্ষণের এবং আরও দুইজনের নামে সহায়তার অভিযোগে মামলা করেছেন। পুলিশ আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের জন্য কাজ করছে।