শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, মঙ্গলবার রাত ১১টায় শমশেরনগর ইউনয়িনের ঈদগাহ টিলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
কমলগঞ্জের কামুদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির এই ছাত্রের নাম আবুল হোসেন। তিনি শমশেরনগর ইউনিয়নের ঈদগাহ টিলার খোকন মিয়ার ছেলে।
বুধবার দুপুরে সরেজমিনে গেলে স্থানীয়রা জানান, শমশেরনগর আপ আউটার সিগনালের অদূরে ৩০৬/২ নম্বর রেলপথের ঈদগাহ টিলা গ্রাম এলাকার বাঁকে একটি স্থানে রেলপথের একটি পাত ভেঙে ফাঁক হয়ে গিয়েছিল।
আবুল হোসেন বলেন, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টায় তিনি স্থানীয় সায়েদ কবিরাজের বাড়ি থেকে ফেরার পথে রেলের ভাঙা পাতটি দেখে গ্রামবাসীদের জানান।
“এ অবস্থায় ট্রেন চলাচল করলে বড় ধরনের দুর্ঘটনার কথা ভেবে গ্রামবাসীকে বিষয়টি জানাই।”
শ্রীমঙ্গল স্টেশন মাস্টার জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, খবর পেয়ে দ্রুত রেলওয়ের লোকজন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং ভাঙা রেলপাত সরিয়ে নতুন রেলপাত বসিয়ে আধঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করেন।
“এ সময় শমশেরনগর রেলওয়ে স্টেশনে চট্টগ্রাম অভিমুখী আন্তনগর পাঁচ শতাধিক যাত্রীবাহী উদয়ন এক্সপ্রেস শমশেরনগর স্টেশনে এবং ঢাকাগামী আন্তনগর উপবন এক্সপ্রেস ট্রেন কুলাউড়া স্টেশনে আটকা পড়েছিল।”
এ খবর না পেলে উদয়ন এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় পড়ত বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
শমশেরনগর স্টেশন মাস্টার কবির আহমদ বুধবার দুপুরে সাংবাদিকদের বলেন, আবুল হোসেনের সচেতনতায় সম্ভাব্য একটি রেল দুর্ঘটনা থেকে বাঁচা গেল। তিনি খবর শুনে রেলওয়ে গণপূর্ত বিভাগের শ্রীমঙ্গলস্থ ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী মনির হোসেনকে অবহিত করলে তিনি গ্যাঙম্যানদের নিয়ে এসে দ্রুত ভাঙা রেলপাত সরিয়ে নতুন একটি পাত স্থাপন করলে প্রায় আধাঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
শ্রীমঙ্গলস্থ রেলওয়ে গণপূর্ত বিভাগের ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী মনির হোসেন বলেন, এখন এ রেলপথ ঝুঁকিমুক্ত আছে।
তিনি আবুল হোসেনসহ গ্রামবাসীকে ধন্যবাদ জানান।