চলন্ত বাসে নার্সকে হত্যার আগে ‘ধর্ষণের আলামত মিলেছে’

কিশোরগঞ্জে চলন্ত বাসে নার্সকে হত্যার আগে ‘ধর্ষণের আলামত মিলেছে’ বলে চিকিৎসক জানিয়েছেন।

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 May 2019, 12:01 PM
Updated : 8 May 2019, 12:01 PM

এছাড়া এ ঘটনায় পাঁচ আসামিকে আট দিনের রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ।

সোমবার ঢাকা থেকে স্বর্ণলতা পরিবহনের একটি বাসে করে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদিতে বাড়ি ফেরার পথে তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয় বলে পরিবারের অভিযোগ। তিনি ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে কাজ করতেন।

জেলার সিভিল সার্জন হাবীবুর রহমান ময়নাতদন্ত শেষে বুধবার সাংবাদিকদের বলেন, “তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ধস্তাধস্তির কারণেই এটা হয়েছে। তাছাড়া রক্তক্ষরণ ও অন্যান্য আলামত দেখে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাকে হত্যার আগে ধর্ষণ করা হয়েছে।”

এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে তার বাবা বাদী হয়ে পাঁচজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে বাজিতপুর থানায় মামলা করেন।

বুধবার পর্যন্ত পুলিশ এ ঘটনায় মোট পাঁচজনকে আটক করেছে। তাদের সবাইকে রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাজিতপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সারোয়ার জাহান বলেন, আটক পাঁচ আসামিকে বুধবার বেলা সাড়ে ৩টায় জেলার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে হাজির করে রিমান্ডে চেয়ে আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে বিচারক আল মামুন আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদেশ দেন।

আসামিরা হলেন বাসচালক নূরুজ্জামান, চালকের সহকারী লালন মিয়া এবং রফিকুল ইসলাম রফিক, খোকন মিয়া ও বকুল মিয়া নামে তিন ব্যক্তি।

সোমবার রাত পৌনে ১১টার দিকে তানিয়াকে বাজিতপুর উপজেলার জামতলী এলাকায় কিশোরগঞ্জ-ভৈরব সড়কের পাশ থেকে মুমূর্ষু উদ্ধার করে এলাকাবাসী। কটিয়াদি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তাকে দলবেঁধে ধর্ষণের পর চলন্ত বাস থেকে ফেলে দেওয়া হয় বলে পরিবারের অভিযোগ।