এ ঘটনায় সোমবার রাতে ওই তরুণের বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ আটক করেছে।
ধর্ষণের শিকার শিশুটিকে (৯) গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সে স্থানীয় মধ্যপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী।
আটক আইয়ুব খান হলেন শাকিল মিয়ার (১৯) বাবা যার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
গাইবান্ধা সদর আধুনিক হাসপাতালের গাইনি বিভাগের জুনিয়র কনসালটেন্ট তাহেরা আক্তার মনি জানান, মঙ্গলবার শিশুটির মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে; ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে।
গাইবান্ধা থানার ওসি খান মো. শাহরিয়ার বলেন, প্রতিবেশী আইয়ুব খানের বাড়িতে চার্জ দেওয়ার জন্য রেখে আসা টর্চ লাইট আনতে গত রোববার সন্ধ্যায় ওই ছাত্রীটি সেখানে যায়।
“এ সময় ঘরে থাকা আইয়ুব খানের বখাটে ছেলে শাকিল শিশুটিকে ধর্ষণ করে। পরে চাকু দেখিয়ে বিষয়টি কাউকে না বলতে ভয় দেখায়।
“কিন্তু শিশুটি বাড়ি ফিরে অসুস্থ হয়ে পড়লে দাদির জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনাটি প্রকাশ করে দেয়। ওই রাতেই তাকে গাইবান্ধা সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।”
ওসি আরও জানান, এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার শিশুটির দাদি বাদী হয়ে গাইবান্ধা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। অপরাধীকে গ্রেপ্তারে পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
স্বজনরা জানিয়ছেন, জন্মের তিন মাস পর মেয়েটির বাবার মৃত্যু হয়েছে। এরপর মা আবার বিয়ে করে চলে যান তাকে ফেলে। তখন থেকে সে দাদির কাছে রয়েছে।