বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী অটুট থাকবে: খাদ্যমন্ত্রী

বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক অতীত ও বর্তমানের মতো ভবিষ্যতেও অটুট থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধনচন্দ্র মজুমদার।

নওগাঁ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 May 2019, 02:47 PM
Updated : 7 May 2019, 02:47 PM

মঙ্গলবার নওগাঁয় এক অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রীর বন্ধন ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযোদ্ধের সময় যেমন ছিল, এখনও আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে।

“১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযোদ্ধের সময় ভারত আমাদের ঘর-বাড়ি, সহায় সম্বলহারা প্রায় এক কোটি বাঙালিকে আশ্রয় দিয়ে, তাদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়ে যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিল আমরা তা আজও মনেপ্রাণে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি। “তৎকালীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী আমাদের শুধু আশ্রয়ই দেননি, বাংলাদেশকে স্বীকৃতি ও মুক্তিযুদ্ধে সৈন্য, অস্ত্র দিয়ে সহযোগিতা করেছিলেন। সে সময় বাংলাদেশ-ভারত যে মৈত্রীর বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে, আজও তা অটুট রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও অটুট থাকবে।”

দুই দেশের বাণিজ্যিক সহায়তা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে নওগাঁর সাপাহার উপজেলায় যে স্থল বন্দরের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে তা বাস্তবায়নে ভারত সরকার সহায়তা করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

দুপুরে নিয়ামতপুর উপজলার সাংশল আদিবাসী স্কুল অ্যান্ড কলেজের ‘গার্লস হোস্টল’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত রীভা গাঙ্গুলি দাসও বক্তব্য রাখেন।

তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি রোল মডেল। নারীকে নারী হিসেবে না ভেবে একজন মানুষ ভাবতে হবে। নারীরা আজ পুরুষের পাশাপাশি সমানভাব কাজ করছেন। দেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে হবে। নারীকে সম্মানের সাথে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে হবে।”

রীভা গাঙ্গুলি বলেন, গার্লস হোস্টেল উদ্বোধন করতে এসে মনে পড়ে যায় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কথা। বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক অটুট আছে ও অক্ষুণ্ন থাকবে। শিক্ষার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ছাত্রছাত্রীদের জন্য ভারত সরকার বৃত্তি প্রদান করে থাকে।

তিনি ছাত্রীদের এই সুযোগ নিতে পরিশ্রম করার পরামর্শ দেন। পড়াশোনা করে নিজের ও পরিবারের ভাগ্য বদলানোর আহ্বান জানান।

নিয়ামতপুর উপজেলা প্রশাসনের আয়াজনে সাংশৈল আদিবাসী স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব হরেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জয়া মারিয়া পেরেরা।

অন্যান্যের মধ্যে নওগাঁ-৩ আসনর সাংসদ ছলিম উদ্দিন তরফদার সলিম, রাজশাহী বিভাগের সহকারী ভারতীয় হাই কমিশনার সনজিত কুমার ভাটি, নওগাঁ জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমান, পুলিশ সুপার ইকবাল হোসেন সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।