সেতুর উপ-সহকারী প্রকৌশলী হুমায়ুন কবীর জানান, সোমবার বেলা সোয়া ১২টায় ১২তম এই স্প্যানটি বসানো হয়। প্রতিটি স্প্যান ১৫০ মিটার হওয়ায় এই নিয়ে মোট ১৮০০ মিটার দৃশ্যমান হল।
তাদের মধ্যে জাজিরা প্রান্তে রয়েছে নয়টি। আর মাওয়া প্রান্তে দুটি ও নদীর মাঝখানে বসানো হয়েছে একটি স্প্যান।
প্রতিনিটি তিন হাজার ১৪০ টন ওজনের এসব স্প্যান বানানো হচ্ছে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে।
সোমবার সকাল সোয়া ৯টায় ওই ইয়ার্ড থেকে ভাসমান ক্রেন করে বহন করা হয়। ১০টা ৫ মিনিটে ক্রেনটি স্প্যান নিয়ে পিয়ারের কাছে পৌঁছায়। তারপর বসানোর কাজ শুরু করেন প্রকৌশলীরা। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে বেলা সোয়া ১২টার দিকে স্প্যানটি বসানো হয়।
৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে এ সেতুতে ৪২টি পিয়ারের ওপর বসবে ৪১টি স্প্যান বসবে। এর মধ্যে ২১টি পিয়ারর ইতোমধ্যেই দৃশ্যমান হয়েছে। অন্যগুলোর কাজ চলছে বলে প্রকৌশলীরা জানিয়েছেন।
দোতলা এ সেতুর নিচতলায় চলবে ট্রেন। ওপরতলায় অন্যান্য যান।
২০১৭ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর সেতুর প্রথম স্প্যান এবং ২০১৮ সালের ২৮ জানুয়ারি দ্বিতীয় স্প্যান বসানো হয়।
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার প্রায় সাত কোটি মানুষের দীর্র্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ হতে যাচ্ছে এ সেতু নির্মাণের মধ্য দিয়ে।