সোমবার আটটি সাধারণ বোর্ড ছাড়াও কারিগরি ও মাদ্রাসা বোর্ডের যে ফল প্রকাশ করা হয়, তার মধ্যে সবচেয়ে কম- ৭০ দশমিক ৮৩ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে সিলেট শিক্ষা বোর্ড থেকে।
যদিও এবারের পাসের হার গতবারের চেয়ে দশমিক ৪১ শতাংশ বেশি। গতবছর এই শিক্ষা বোর্ডে মাধ্যমিকে পাসের হার ছিল ৭০ দশমিক ৪২ শতাংশ।
সিলেট শিক্ষা বোর্ড থেকে এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে দুই হাজার ৭৫৭ জন শিক্ষার্থী, যা গতবারের চেয়ে ৪৩৪টি কম। গতবার জিপিএ-৫ পায় তিন হাজার ১৯১ জন।
সোমবার বেলা ১২টায় বোর্ডের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ফলাফল ঘোষণা করেন সিলেট শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কবির আহমেদ।
তিনি বলেন, সাধারণ গণিতে ফলাফল খারাপ হওয়ায় জিপিএ-৫ কিছুটা কমেছে। তবে পাসের হার গতবছরের তুলনায় বেড়েছে।
সার্বিক ফলাফলে সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি।
সিলেট বোর্ড থেকে এবার মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ নেওয়া এক লাখ ১৩ হাজার ১৭১ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৮০ হাজার ১৬২ জন।
পাস ও জিপিএ-৫ পাওয়ার দিক থেকে এগিয়ে রয়েছে ছেলেরা।
ছেলেদের পাসের হার ৭২ দশমিক ২১ শতাংশ ও মেয়েদের পাসের হার ৬৯ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
জিপিএ-৫ পাওয়া দুই হাজার ৭৫৭ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ছেলে এক হাজার ৪২৬ ও মেয়ে এক হাজার ৩৩১ জন।
সিলেটের চার জেলায় শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছে ২২টি প্রতিষ্ঠানের। কেউ পাস করেনি এমন প্রতিষ্ঠান নেই।
বিভাগের চার জেলার মধ্যে সিলেট জেলায় পাসের হার ৭০ দশমিক ৩৫, হবিগঞ্জে ৭১ দশমিক ৫৩, মৌলভীবাজারে ৬৯ দশমিক ৫৭ ও সুনামগঞ্জে ৭২ দশমিক ২৫ শতাংশ।