নিহত ফারিয়া আক্তার সদর উপজেলার পাতিলাখালী গ্রামের ওমর আলী শেখের মেয়ে। স্থানীয় কোণ্ডলা বড়বিবি দাখিল মাদ্রাসার শিশুশ্রেণির ছাত্রী সে।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মাহফুজ আফজাল জানান, রোববার সন্ধ্যায় বাড়ির পাশের একটি খালের চরে পুঁতে রাখা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। একই সময় ওই কিশোরকে আটক করা হয়।
নিহত শিশুর বাবা ওমর আলী সাংবাদিকদের বলেন, ওই কিশোর তাদের আত্মীয়।
“সে সম্প্রতি মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে। আমি তাকে নেশা ছাড়তে উপদেশ দেই। এতে সে আমার উপর ক্ষুব্ধ হয়ে আমার মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে ধর্ষণের পর হত্যা করে আমার ওপর রাগ মিটিয়েছে। আমি এই অপরাধীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।”
এ ঘটনায় সোমবার সকালে ওমর আলী মামলা করেছেন।
পুলিশ কর্মকর্তা মাহফুজ বলেন, “নেশা করতে বাধা দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে আম খাওয়ানোর কথা বলে শিশুটিকে সুপারি বাগানে নিয়ে হত্যা করে সে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। তবে ধর্ষণের বিষয়টি পুলিশ এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি।”
লাশের ময়নাতদন্ত শেষ হয়েছে। তবে প্রতিবেদন এখনও আসেনি।
বাগেরহাট সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) মশিউর রহমান বলেন, “মেডিকেল টিমের প্রতিবেদন হাতে পেলে নিশ্চিত হতে পারব হত্যার আগে ধর্ষণ হয়েছে কিনা।”