রোববার গাইবান্ধা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মোহাম্মদ আবদুর রহমান প্রায় চার বছর আগের এই মামলার রায় দিয়েছেন।
দণ্ডিত আরিফুল ইসলাম (২১) গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার চাপড়াপাড়া গ্রামের আবু সামাদের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় তিনি পলাতক ছিলেন।
রায়ে তাকে এক লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়, যা অনাদায়ে তাকে আরও ছয় মাস কারাভোগ করতে হবে।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর পাবলিক প্রসিকিউটর মুহিবুল হক সরকার মোহন জানান, ২০১৫ সালের ২ সেপ্টেম্বর গোবিন্দগঞ্জের রাজা বিরাট হাইস্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে ষষ্ঠ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে আরিফুল ইসলাম ও তার তিন সহযোগী জোর করে একটি গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়।
মুহিবুল হক জানান, ঘটনার তিন দিন পর মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে আরিফুলকে প্রধান আসামি করে মোট চার জনের বিরুদ্ধে গোবিন্দগঞ্জ থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
অভিযুক্ত অপর তিন আসামি সুলতান সরকার, আবু তালেব ও জহরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাস দেওয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় তারা আদালতে উপস্থিত ছিলেন বলে মুহিবুল জানান।
“মামলার রায়ের দিন পর্যন্ত অপহৃত কিশোরীর কোনো হদিস পাওয়া যায়নি এবং অপহরণকারী আরিফুলকেও পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারেনি।”
তিনি আরও জানান, অর্থদণ্ডের টাকা ক্ষতিপূরণ হিসেবে অপহৃতার বাবাকে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।