জলঢাকা উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ভোট গ্রহণ চলছে

আইনী জটিলতায় স্থগিত থাকা নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদের ভোট গ্রহণ চলছে।

নীলফামারী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 May 2019, 09:54 AM
Updated : 5 May 2019, 09:54 AM

জলঢাকা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ফজলুল করিম জানান, রোববার সকাল ৮টা থেকে উপজেলার ৮৯টি কোন্দ্রে একযোগে শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।

উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা দুই লাখ ৩৬ হাজার ১৭২ জন।

জলঢাকা উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনছার আলী  মিণ্টু (নৌকা) ও উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি বিদ্রোহী প্রার্থী  আব্দুল ওয়াহেদ বাহাদুর (চিংড়ি মাছ)।

রোববার সকাল থেকে উপজেলার বিভিন্ন ভোট কেন্দ্র ঘুরে ভোটারদের শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট দিতে দেখা গেছে: তবে ভোটারদের উপস্থিতি তুলনামূলক কম ছিল।

উপজেলার কাঁঠালী ইউনিয়নের ভোটার রফিকুল ইসলাম (৫০) বলেন,“সকাল থেকে এলাকার নারী পুরুষ ‘নির্বিঘ্নে’ ভোট দিয়েছেন। তবে একটি পদের নির্বাচন হওয়ায় ভোটার দের তেমন আগ্রহ নেই।’

রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, বোববার সকাল থেকে শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণ চলছে। আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় পর্যাপ্ত পুলিশ, বিজিবি,র‌্যাব ও  আনসার মোতায়েন রয়েছে।’

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম দফায় গত ১০ মার্চ এই উপজেলা পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা ছিল।

চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ বাহাদুর। বাছাইকালে আব্দুল ওয়াহেদের মনোনয়পত্র বাতিল হয়।

এর বিরুদ্ধে তিনি জেলা প্রশাসকের কাছে আপিল করেন। জেলা প্রশাসক রিটার্নিং কর্মকর্তার দেওয়া মনোনয়নপত্র বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন।

এরপর আব্দুল ওয়াহেদ বাহাদুর উচ্চ আদালতে রিট করে তার প্রার্থিতা ফেরৎ পান।

ওই আদেশের পর জলঢাকা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ফজলুল করিম ২০ ফেব্রুয়ারি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আব্দুল ওয়াহেদ বাহাদুরকে চিংড়ি মাছ প্রতিক বরাদ্দ দেন।

এরপর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আনছার আলী আপিল করলেও তা খারিজ হয়ে যায়।এর ফলে নির্বাচন কমিশন জলঢাকা উপজেলা পরিষদের স্থগিত থাকা চেয়ারম্যান পদের নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য গত ২৩ এপ্রিল গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে।