ভোলায় ঝড়ে নারী নিহত, দুই শতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত

ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাতে ঘরচাপা পড়ে ভোলায় এক নারী নিহত হয়েছেন। আর শুধু সদর উপজেলায় দুই শতাধিক বাড়িঘর বিধস্ত হয়েছে।

ভোলা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 May 2019, 06:30 AM
Updated : 4 May 2019, 07:02 AM

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামাল হোসেন জানান, শনিবার সকালে দক্ষিণ দিঘলদি এলাকায় ঝড়ে ঘর ভেঙে পড়লে রানী বেগম (৪৫) নামে এই নারী চাপা পড়ে নিহত হন।

রানী দক্ষিণ দিঘলদি ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার সামসুল হকের স্ত্রী।

বঙ্গোপসাগরের দ্বীপজেলা ভোলায় শুক্রবার রাত থেকে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টিতে মাটি নরম হওয়ায় ঝড়ো হাওয়ায় এসব ঘরবাড়ি ভেঙে পড়ে।

ইউএনও কামাল বলেন, দনিয়া, কাতিয়া, ইলশা, দক্ষিণ দিঘলদিসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে দুই শতাধিক ঘরবাড়ি বিধস্ত হয়েছে। এছাড়া বিস্তীর্ণ এলাকায় ফসল, রাস্তা-ঘাট ও গাছপালা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

দক্ষিণ দিঘলদি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইফতারুল আলম স্বপন জানান, শুধু তার ইউনিয়নেই শতাধিক ঘরবাড়ি বিধস্ত হয়েছে।

চরফ্যাশন উপজেলার ইউএনও নূরুল আমিন বলেন, তেমন ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। তবে ফসল ও গাছপালার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

এদিকে সকালে লালমোহনের কচুয়াখালী চর থেকে নিকটবর্তী আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার পথে একটি ট্রলার ডুবে কয়েকজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

কচুয়াখালী চর থেকে জেলে নাছির উদ্দিন বলেন, “শনিবার সকালে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার পথে মাইনুদ্দিনে ট্রলারটি ডুবে যায়। এতে চার-পাঁচজন আহত হন। তবে কেউ নিখোঁজ হয়নি।”

ভোলা ঘূর্ণিঝড় প্রস্ততি কর্মসূচির উপ-পরিচালক সাহাবুদ্দিন মিয়া জানান, ভোলায় বাতাসের গতিবেগ ৭০ থেকে ৮০ কিলোমিটার। এখনও ৭ নম্বর সংকেত বহাল রয়েছে। কোথাও বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

ভোলার জেলা প্রশাসক মাসুদ আলম সিদ্দিক বলেন, তারা সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নিচ্ছেন। এখন পর্যন্ত বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাননি।