হাজীগঞ্জ থানার ওসি আলমগীর হোসেন রনি জানান, হাজীগঞ্জ পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বকুলতলা রোডের বিপুল আচার্যের স্ত্রী দীপিকাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ পেয়েছেন তারা।
দীপিকাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে পরিবার জানিয়েছে।
দীপিকার বড় ভাই অরবিন্দ আচার্য বলেন, “ভগ্নিপতি বিপুলের একটি পারিবারিক জায়গা বিক্রির চেষ্টা চলছে। আমার বোন দীপিকা বিক্রিতে বাধা দিয়ে আসছিল। এছাড়া তাদের পারিবারিক কলহ ছিল।
“এসব কারণে গত ৩০ এপ্রিল গভীর রাতে দীপিকার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে হত্যার চেষ্টা করে বিপুলের পরিবারের সদস্যরা। একে দুর্ঘটনা বলে চালানোর জন্য তারা তাকে প্রথমে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, পরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়। সেখান থেকে ওই দিনই তাকে ঢাকা মেডিকেলে নেয় তারা।”
ঢাকা মেডিকেলে দীপিকার সঙ্গে কথা বলেছেন জানিয়ে অরবিন্দু বলেন, “গায়ে আগুন দেওয়ার আগে বিপুল আমার বোনকে মারধর করে। তার মাথা ও কপাল ফেটে গেছে। বিপুল, তার ভাই সজল, মা সন্ধ্যা রানী ও সজলের স্ত্রী দীপা পূর্বপরিকল্পিতভাবে আমার বোনকে হত্যার চেষ্টা করে।”
এ ঘটনায় মামলার পর পুলিশ তিনজনকে আটক করেছে।
ওসি আলমগীর বলেন, “দীপিকার শরীর ৯৯ শতাংশ পুড়ে গেছে। তার জবানবন্দি নেওয়ার জন্য হাজীগঞ্জ থানার এসআই সঞ্জয়কে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়। দীপিকা জানিয়েছেন, তাকে আগুন দিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছেন স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির চার সদস্য।”
ঘটনার পর বিপুল, তার মা সন্ধ্যারানী ও ভাই সজলকে আটক করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত সজলের স্ত্রী দীপাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
ঘটনার পর দীপিকার সাড়ে তিন বছরের মেয়েকে নিয়ে দীপা পালিয়ে গেছেন বলে অরবিন্দুর দাবি।