এছাড়া পরিবারের সদস্যদের অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করার অভিযোগ এসেছে।
ভাকুর্তা পুলিশ ফাঁড়ির এসআই তারিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেছে ভাকুর্তা ইউনিয়নের উত্তর মুগড়াকান্দা গ্রামের আবু বক্করের পরিবার।
তবে এসআই তারিকুল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
আবু বক্করের মা হাজেরা বেগম বলেন, “এসআই তারিকুল ইসলাম মঙ্গলবার ভোরে বাড়িতে এসে আমার ছেলেকে খুঁজে না পেয়ে টিনের বেড়া ও ঘরের দরজা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে তছনছ করেন। আমি কান্নাকাটি করলেও পুলিশ শোকেস ভেঙ্গে সমস্ত কাগজপত্রসহ মালামাল তছনছ করে।
“শোকেসের ড্রয়ারে থাকা টাকা নিয়ে যান। তখন আমি পুলিশকে বলি সপ্তাহখানেক আগেও আমার ছেলেকে ধরে নিয়ে গেছেন, তখন ফাঁড়ি থেকে দেড় লাখ টাকা দিয়ে ছাড়িয়ে আনলাম।”
বক্করের স্ত্রী রেবেকা বেগম অভিযোগ করেন, “এসআই তারিকুল ইসলাম পুরো বাড়ি তল্লাশি করেন। অশ্লীল ভাষায় বকাঝকা করেন। আলমারি থেকে দেড় লাখ টাকা, তিনটি সোনার চেইন ও তিনজোড়া কানের দুল নিয়ে চলে যান।”
ওই এলাকার একজন দোকানি জানান, বক্কর আগে মাদক কেনাবেচনা করতেন। বছর খানেক আগে ছেড়ে দিয়ে এখন রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। কিন্তু পুলিশ কয়েক দিন পরপরই তার বাড়িতে হানা দেয়।
অভিযোগ প্রসঙ্গে এসআই তারিকুল বলেন, “আবু বক্করের নামে একটি মাদক মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। তার বাড়িতে যাই, কিন্তু সে আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়।
“ঘর তছনছ বা টাকা ও সোনার গয়না হাতিয়ে নেওয়ার যে অভিযোগ তার পরিবার করছে তা সঠিক নয়। এর আগেও তাকে গ্রেপ্তার করে দেড় লাখ টাকা নেওয়ার যে অভিযোগ করছে তাও সঠিক নয়।”