কালিয়া থানার ওসি মো. আনোয়ার হোসেন জানান, মঙ্গলবার রাতে হাড়িডাঙ্গা গ্রামের গৃহবধূ সিমলা বেগমকে (১৯) হত্যা করা হয় বলে তারা অভিযোগ পেয়েছেন।
সিমলা ওই গ্রামের রাজমিস্ত্রি মো. তাওহিদের স্ত্রী। বাগেরহাটের মংলার বুড়িডাঙ্গা গ্রামের আজিজুল হাওলাদারের মেয়ে তিনি।
সিমলার বাবা আজিজুল হাওলাদার বলেন, মঙ্গলবার রাতে অপরিচিত এক ব্যক্তি তাদের বাড়িতে ফোন করে জানান, সিমলা কালিয়া হাসপাতালে মারা গেছেন। পরে তিনি কালিয়া থানায় এসে মেয়ের লাশ পান।
এর সপ্তাহ খানেক আগে সিমলার স্বামী তাওহিদ ব্যবসার জন্য এক লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেছিলেন জানিয়ে সিমলার খালু গোলাম কিবরিয়া বলেন, “টাকা না দেওয়ায় তাকে গলা টিপে করে হত্যা করেন তাওহিদ। সিমলা চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল।”
তবে সিমলার শাশুড়ি সুলেখা বেগম বলছেন, “সিমলা শ্বাসকষ্টে অসুস্থ হয়ে পড়লে তারা তাকে কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যান। সেখানে তার মৃত্যু হয়।”
এ বিষয়ে ওসি আনোয়ার চিকিৎসকের বরাতে বলেন, “সিমলাকে মৃত অবস্থা হাসপাতালে নেওয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ কালিয়া হাসপাতাল থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। মৃত্যুর কারণ নিয়ে সন্দেহ থাকায় ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।”
প্রতিবেদন পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।