একই সঙ্গে ভেজাল খাদ্যদ্রব্য মওজুদ ও বাজারজাতকরণের চেষ্টার অপরাধে একটি হিমাগারকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা এবং দুটি হিমাগার বন্ধ দেওয়া হয়।
জব্দ করা খেজুরের আনুমানিক মূল্য প্রায় শত কোটি টাকা বলে র্যাব জানিয়েছে।
সোমবার দুপুরে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক সারোয়ার আলমের নেতৃত্বে র্যাব-১১ এর একটি দল উপজেলার ধর্মগঞ্জ এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়।
সারোয়ার আলম সাংবাদিকদের বলেন, আসন্ন পবিত্র রমজান মাসকে সামনে রেখে এই দুটি হিমাগারে খেজুরগুলো মজুদ করে রাখা হয়েছিল, যা কমপক্ষে তিন থেকে চার বছর আগের আমদানিকৃত।
“খেজুরগুলো একেবারেই নষ্ট হয়ে যাওয়ায় হিমাগারে পচা দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে। এই খেজুর একেবারেই খাওয়ার অনুপযোগী এবং স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।”
একই সাথে নষ্ট খেজুরগুলোতে এক ধরনের সিরাপ স্প্রে করে চকচকে করে নতুন বস্তায় ভরে রাখা হয়েছে বলে তিনি জানান।
সারোয়ার আলম আরও বলেন, শাহীন কোল্ড স্টোরেজ রি প্যাকিং করার অপরাধে ওই কোল্ডস্টোরেজকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলাও দায়ের করা হয়েছে।
র্যাব-১১ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলেপ উদ্দিন বলেন, পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে নষ্ট খেজুরগুলো যাতে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়তে না পারে তার জন্য র্যাব আগে থেকেই হিমাগারগুলোর ওপর গোয়েন্দা নজরদারি চালিয়ে আসছিল।
“দুটি কোল্ডাস্টোরেজে খেজুর, মাল্টা, আপেল আমরা পেয়েছি।”
অসাধু ব্যবসায়ী চক্র ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের অপরাধ করতে না পারে সেজন্য র্যাবের নজরদারি অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।