এ ঘটনায় পাঁচ পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে নেওয়া হয়েছে।
উপজেলার রামগোপালপুর ইউনিয়নের বলুহা গ্রামের খোকন (৩০) মিয়া জানান, রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে তার দোকানে এ ঘটনা ঘটে।
খোকন ওই গ্রামের আবদুল কদ্দুসের ছেলে। দোকানে ইয়াবার পোঁটলা রেখে পুলিশ তাকে ‘ফাঁসানোর’ চেষ্টা করেছিল বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করলেও পুলিশের দাবি,ওই পোঁটলা তারা তল্লাশির সময় পেয়েছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান, গৌরীপুর থানার এসআই আবদুল আউয়ালের নেতৃত্বে এসআই রুহুল আমিন, এএসআই আনোয়ার হোসেন এসআই কামরুল ও কনস্টেবল আলামিন রামগোপালপুর বাজারে খোকনের দোকানে যান। এক পর্যায়ে তারা দোকানের ভেতর তল্লাশি শুরু করলে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে যায়।
এ সময় খোকনের দোকানে একটি ইয়াবার পোঁটলা পাওয়া গেছে বলে পুলিশ দাবি করলে স্থানীয়রা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওই পুলিশ সদস্যদের ঘেরাও করে বিক্ষোভ শুরু করে। এক পর্যায়ে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ সড়ক অবরোধ করে তারা।
“এক পর্যায়ে দুই পুলিশ আমার দোকানের ভেতরে একটি পোঁটলা রাখেন। এটা কি রাখলেন, জিগেস করায় এসআই রুহুল আমিন আমাকে থাপ্পর মারেন। এ সময় আমি অজ্ঞান হয়ে পড়ে যাই।”
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় বলে খোকন জানান।
খোকনের অভিযোগ অস্বীকার করে গৌড়ীপুর থানার ওসি আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, “খোকনের দোকানে তল্লাশি চালাতে গেলে সে ক্ষুদ্ধ হয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে তার হতাহাতির ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে সে অজ্ঞান হয়ে পড়লে স্থানীয়রা তাকে তুলে হাসপাতালে নিয়ে যায়।”
এদিকে ইয়াবা রেখে ফাঁসানোর চেষ্টার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে গৌরীপুর থানার এএসআই আনোয়ার বলেন, “খোকন ফ্লেক্সিলোড ব্যবসার পাশাপাশি ইয়াবা বিক্রি করে খবরে তার দোকানে তল্লাশি চালানো হয়। আমরা কোনো পোঁটলা রাখি নাই। ওই পোঁটলা আগে থেকেই তার দোকানে ছিল।”
ওই পোঁটলা থেকে সাতটি ইয়াবা পাওয়া গেছে বলেও দাবি করেন তিনি।
ইয়াবা মেলার পরও কেন খোকননকে আটক করা হলো না জানতে চাইলে এসআই বলেন,“ খোকনকে ‘ভালো মানুষ’ দাবি করে এলাকাবাসী আমাদের আটকে ফেলে বিক্ষোভ শুরু করায় তাকে ছেড়ে দিতে হয়েছে।”
ওসি আবদুল্লাহ বলেন, প্রাথমিকভাবে পাঁচ পুলিশ সদস্যকে পুলিশ লাইন্সে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তদন্ত শেষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।