শনিবার সন্ধ্যায় গোবিন্দনগর ফজলিয়া ফাজিল মাদ্রাসার শিক্ষক রাজিবুর রহমানকে (৪০) গ্রেপ্তার করা হয়।
মাদ্রাসা আলিম শ্রেণির এই ছাত্রীর ভাই বলেন, ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে মাদ্রাসার ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক রাজিবুর রহমানের বাসায় প্রাইভেট পড়তেন ওই ছাত্রী।
“এ সময় আমার সঙ্গে শিক্ষক অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন এবং নানাভাবে আমাকে যৌন হয়রানি করেন।”
ছয় দিন প্রাইভেট পড়ে এ শিক্ষকের কাছে ছাত্রীটি পড়া বন্ধ করে দেন বলে জানান।
ওই ছাত্রী আরও বলেন, গত ২৭ মার্চ আলিম পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান চলাকালে শিক্ষক রাজিবুর রহমান তাকে মাদ্রাসার একটি কক্ষে নিয়ে যান এবং তার শরীরে হাত দেন।
এ সময় তাকে হুমকি দিয়ে বলেন এসব ব্যাপার যেন কাউকে না বলা হয়। পরে লেখাপড়া বন্ধ করে দিয়ে তিনি আলিম পরীক্ষায় অংশ নেননি বলে জানান।
ছাত্রীর ভাই জানান, বিষয়টি তার বোন কয়েকবার মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুস সালাম আল মাদানীকে জানান। কিন্তু অধ্যক্ষ এব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নেননি। উল্টো তিনি অভিযুক্ত শিক্ষকের পক্ষ নেন।
“শনিবার ক্ষুব্ধ হয়ে আমার বোন মাদ্রাসার অধ্যক্ষকে কেন এব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হল না জানতে চান। কিন্তু তিনি উল্টো আমার বোনকে এঘটনার জন্য দায়ী করেন এবং মাদ্রাসর কিছু ছাত্র অধ্যক্ষের পক্ষ নিয়ে আমার বোনকে মারধর করে। এ সময় আমার বোনও অধ্যক্ষকে কয়েকটি চড় মারেন।”
এ ব্যাপারে অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুস সালাম আল মাদানী বলেন, “আামাকে এই বিষয়ে দুই দিন মোবাইল ফোনে ছাত্রীর পরিবার থেকে জানানো হয়েছে। আমি বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য চেষ্টা করেছিলাম।”
তিনি ছাত্রীকে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেন।
ছাতক থানার ওসি আতিকুর রহমান বলেন, শিক্ষার্থী বাদী হয়ে এ ঘটনায় মামলা দায়ের করেছেন। আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।