সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সিরাজুল ইসলাম জানান, জইয়ার গ্রামের রাধাগোবিন্দ ও কালী মন্দিরে বৃহস্পতিবার রাতে এই ভাংচুরের অভিযোগ পেয়ে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
মন্দিরের সভাপতি রাম গোপাল সরকার বলেন, মন্দির দুটি স্থানীয় লোকজনের আর্থিক সহায়তায় অল্প কিছুদিন আগে বানানো হয়। এখনও দরজা লাগানো হয়নি।
“মন্দিরের উন্নয়নকাজের জন্য বৃহস্পতিবার রাত ১২টার পর্যন্ত মন্দির প্রাঙ্গণে মিটিং করেন কমিটির সদস্যসহ এলাকাবাসী। শুক্রবার সকালে দেখি প্রতিমার নাক-জিভ ভাঙা। একটা প্রতিমা উপুড় করে রাখা। আরেকটি মন্দিরের কালী প্রতিমা ও মহাদেবের বিগ্রহ ভাংচুর ও রক্ষা প্রতিমা মাটিতে ফেলে রাখা হয়েছে।”
এ ঘটনায় স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে বলে তিনি জানান।
তিনি ঘটনা তদন্ত করে অপরাধীকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন।
পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম বলেন, “ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা এখনও জানা যায়নি। মন্দির কমিটিও এখন পর্যন্ত সন্দেহভাজন কারও নাম বলতে পারেনি। তদন্ত অব্যাহত আছে। আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”