‘অজ্ঞান করে’ শিশুকে ‘ধর্ষণ’, চিকিৎসক গ্রেপ্তার

ঝিনাইদহের মহেশপুরে ‘ওষুধে অজ্ঞান করে’ ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশ এক পল্লী চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করেছে।

ঝিনাইদহ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 April 2019, 05:30 PM
Updated : 21 April 2019, 06:10 PM

ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিলু মিয়া বিশ্বাস বলেন, রোববার উপজেলার সেজিয়া বাজারে নাজ ফার্মেসিতে এ ঘটনা ঘটে বলে স্বজনের অভিযোগ।

গ্রেপ্তার সাইফুল ইসলাম মহেশপুর উপজেলার নেপা ইউনিয়ানের সেজিয়া গ্রামের খোদাবন্দীপাড়ার নুর মোহাম্মাদের ছেলে। পল্লি চিকিৎসক হিসেবে তিনি স্থানীয় বাজারে নাজ ফার্মেসিতে বসেন।

ওই স্কুলছাত্রীকে (১২) গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।

মেয়েটির মা বলেন, কয়েকদিন আগে তার মেয়ের জ্বর হয়। জ্বর ভালো না হওয়ায় তার বাবা শনিবার রাতে সেজিয়া বাজারে সাইফুল ইসলামের নাজ ফার্মেসিতে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান। সেখানে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি আনেন।

“ওই সময় সাইফুল মেয়েকে পরদিন সকালে আবার পাঠাতে বলে আবার দেখার জন্য।”

মেয়েটির মা আরও বলেন, রোববার সকালে সাইফুলের কথামত তার বাবা মেয়েকে ফার্মেসিতে পাঠিয়ে দেন। মেয়েটি সেখানে গেলে সাইফুল ইসলাম তার শরীরে একটি ইনজেকশন দেয় ও একটি ট্যাবলেট খাওয়ায়। এরপর মেয়েটি জ্ঞান হারিয়ে ফেললে সাইফুল তাকে ধর্ষণ করে।

স্কুলছাত্রীর পরিবারের লোকজন তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন বলে মেয়েটির মা জানান।