শনিবার জেলা শহরের চন্দ্রপুরে দৈনিক ভোরের দর্পনের জেলা প্রতিনিধি দিদারুল আলমের (৪২) বাড়িতে এই হামলা হয় বলে পুলিশে অভিযোগ করা হয়।
আহতরা হলেন দিদারুল আলম, তার বাবা আবুল কালাম (৭৫), মা আয়েশা খাতুন (৬০) ও ছোট ভাই মাহে আলম।
দিদারুল, আবুল কালাম ও মাহে আলমকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আয়েশা খাতুনকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় গোলাম আজম নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
সাংবাদিক দিদারুল আলম ও তার পরিবারের অভিযোগ, একই এলাকার ‘সন্ত্রাসী তপু ও আজিম’ দীর্ঘদিন ধরে তাদের কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল।
দিদারুল বলেন, শনিবার দুপুর ১২টার দিকে তপু, আজিমসহ ১৪-১৫ জন সন্ত্রাসী আকষ্মিকভাবে তাদের বাড়িতে হামলা-ভাংচুর শুরু করে।
“তাদের হামলায় আমার বাবা, মা ও ছোট ভাই আহত হন।”
খবর পেয়ে দিদার প্রেসক্লাব থেকে বাসায় গেলে সন্ত্রাসীরা তাকেও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে বলে দিদারের ভাষ্য।
পরে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে হামলাকারীরা পালিয়ে যায় বলে দিদার জানান।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম বলেন, সাংবাদিক দিদারের নাকে, হাতে, পায়েসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত লেগেছে। নাক ফেটে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
সুধারাম মডেল থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, এ ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ। বাকিদেরকে ধরতে অভিযান চলছে। থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।