আদালত পুলিশের পরিদর্শক গোলাম জিলানি জানান, শনিবার সন্ধ্যায় ফেনীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম শরাফ উদ্দিন আহমেদ এই আদেশ দেন।
বিকালে পুলিশ রুহুল আমিনকে আদালতে হাজির করে নুসরাত হত্যার ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের হেফাজতের (রিমান্ড) আবেদন করে বলে তিনি জানান।
শুক্রবার বিকালে নিজ বাড়ি থেকে রুহুল আমিনকে আটক করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। পরে তাকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
নুসরাত হত্যাকাণ্ডে এ পর্যন্ত রুহুল আমিনসহ ১৯ জনকে আটক করা হয়েছে।
নুসরাত ছিলেন ওই মাদ্রাসার আলিম পরীক্ষার্থী। গত ৬ এপ্রিল আরবি প্রথম পত্র পরীক্ষা দিতে গেলে তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় কয়েকজন। এ ঘটনায় দগ্ধ নুসরাত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০ এপ্রিল মারা যান।
মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলার বিরুদ্ধে নুসরাতের পরিবারের দায়ের করা মামলা তুলে না নেওয়ায় অধ্যক্ষের লোকজন তার গায়ে আগুন দেয় বলে গ্রেপ্তারদের স্বীকারোক্তিতে উঠে এসেছে।
এসব ঘটনায় রুহুল আমিনসহ কমিটির কয়েকজনের বিরুদ্ধে সম্পৃক্ততার অভিযোগ উঠেছে।
একই অভিযোগে এর আগে সোনাগাজী পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও সোনাগাজী পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গণমাধ্যমে এসেছে, নুসরাতের গায়ে আগুন দেওয়ার পর শাহাদাত হোসেন শামীম ফোন করে রুহুল আমিনকে ঘটনা জানিয়েছিলেন।