ফেনীর জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুজজামান জানান, কমিটির সদস্যরা নুসরাত হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠায় এই নির্দেশ এসেছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আহসান উল্লাহ স্বাক্ষরিত একটি চিঠি বুধবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এসেছে জানিয়ে তিনি বলেন, চিঠির নির্দেশনা মোতাবেক ফেনীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে আহ্বায়ক কমিটি গঠনের প্রস্তুতি চলছে।
“কমিটি গঠন করতে হলে নীতিমালা অনুসারে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি থাকতে হবে। আমরা সেজন্য অপেক্ষা করছি।”
নুসরাত ছিলেন ওই মাদ্রাসার আলিম পরীক্ষার্থী। গত ৬ এপ্রিল আরবি প্রথম পত্র পরীক্ষা দিতে গেলে তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় কয়েকজ। এ ঘটনায় দগ্ধ নুসরাত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০ এপ্রিল মারা যান।
মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলার বিরুদ্ধে নুসরাতের পরিবারের দায়ের করা মামলা তুলে না নেওয়ায় অধ্যক্ষর লোকজন তার গায় আগুন দেয় বলে পরিবারের অভিযোগ।
এ ঘটনায় মামলায় অধ্যক্ষ ও কমিটির সদস্যসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করে নুসরাতে ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান ৮ এপ্রিল সোনাগাজী থানায় মামলা করেন।
বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত এ মামলায় এজহারভুক্ত আটজনসহ ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের মধ্যে চারজন হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। অপর ১৩ আসামি বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে রয়েছেন।