অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামান জানান, বৃহস্পতিবার রাতে মেঘনা নদীর কাটাখালি অংশে এ ঘটনায় তিনি নিজে এবং ফরিদগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মিজানুর রহমান আহত হন।
ইলিশ অভয়াশ্রম কর্মসূচির আওতায় জাটকা রক্ষায় চাঁদপুরের মেঘনা নদীর ৭০ কিলোমিটার এলাকায় মার্চ-এপ্রিল দুই মাস ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার।
আল মাহমুদ বলেন, “মা ইলিশ শিকার বন্ধে কাটাখালি এলাকায় মেঘনা নদীতে কোস্টগার্ড, লৌহজং পুলিশ ও উপজেলা মৎস্য অফিসের কর্মকর্তারা ট্রলার ও স্পিডবোটে করে টহল দিচ্ছিল। এক পর্যায়ে জেলেরা তাদের লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়ে মারে।”
আল মাহমুদ বলেন, মেঘনা নদীতে মাছ ধরার অপরাধে রাতেই ১৭ জেলেকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যামণ আদালত বসিয়ে ১৩ জেলেকে এক বছর করে কারাদণ্ড এবং বাকিদের অর্থদণ্ড দেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোরশেদুল ইসলাম ।
অভিযানে ৬৩টি মাছ ধরার নৌকা আটক করে সেগুলো ব্যবহারের অনুপযোগী করা হয়। পাঁচটি মাছের আড়ত আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এছাড়া ১ মণ জাটকা ও পৌনে ৪ লাখ মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করা হয় বলে জানান তিনি।