করাচি থেকে এসে ‘কিশোরী ধর্ষণের শিকার’, চাচি গ্রেপ্তার

পাকিস্তানের করাচি থেকে বাবার বাড়ি টাঙ্গাইল আসা এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে তার স্বজন এক যুবকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় পুলিশ ওই ছেলের মাকে গ্রেপ্তার করেছে।

টাঙ্গাইল প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 April 2019, 05:34 PM
Updated : 18 April 2019, 05:59 PM

গত মঙ্গলবার মেয়েটিকে (১৭) অপহরণ করে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। বুধবার রাতে মেয়েটির মা গোপালপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।  

বৃহস্পতিবার ভোরে জামালপুরের সরিষাবাড়ী থেকে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়। বিকালে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে তার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, ভ্রমণ ভিসা নিয়ে মায়ের সঙ্গে ওই কিশোরী বাংলাদেশে বেড়াতে এসেছেন। তিনি পাকিস্তানের নিউ করাচির পুপার হাইওয়েজ রোডের বাসিন্দা এবং সেখানকার একটি স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী।

গোপালপুর থানার ওসি হাসান আল মামুন বলেন, মেয়েটির বাবা গোপালপুর উপজেলার উত্তর গোপালপুর গ্রামের বাসিন্দা। প্রায় ২০ বছর আগে তিনি পাকিস্তানের নিউ করাচি গিয়ে বসবাস শুরু করেন। সেখানে পাকিস্তানি নাগরিককে বিয়ে করে গার্মেন্টস ব্যবসা শুরু করেন।

ওসি বলেন, পাঁচ মাস আগে গত ২২ নভেম্বর মায়ের সঙ্গে মেয়েটি তার বাবার বাড়ি বেড়াতে আসেন। এখানে এসে তারা উত্তর গোপালপুর গ্রামে আব্দুল ওয়াদুদের বাড়িতে ওঠেন। ওয়াদুদ মেয়েটির বড় চাচা।

এখানে আসার পর থেকে মেয়েটির আরেক চাচা আবুল হোসেনের ছেলে ‘বখাটে’ আল আমিন তার মেয়েটিকে উত্ত্যক্ত করতে থাকে। বিষয়টি নিয়ে পারিবারিক সালিশও হয় বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।

ওসি বলেন, গত মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাতে একদল সন্ত্রাসীর সহযোগিতায় আল আমিন তার চাচা আব্দুল ওয়াদুদের বাড়ি থেকে মেয়েটিকে কৌশলে অপহরণ করে। পরে আটকে রেখে একাধিকবার ধর্ষণ করে।

এ ঘটনায় বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাতে আল আমীন ও তার মা আনোয়ারা বেগমসহ (৪৭) তিনজনকে আসামি করে মেয়েটির মা গোপালপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন বলে ওসি জানান।

“পরে থানা পুলিশ বৃহস্পতিবার ভোর রাতে জামালপুরের সরিষাবাড়ি উপজেলার মহিষাকান্দি মোড়ের এক বাসা থেকে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে।”

এ ঘটনায় আল আমিনের মা আনোয়ারা বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে বলেও তিনি জানান।  

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আসলাম উদ্দিন বলেন, বৃহস্পতিবার বিকালে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ওই কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু বাংলা বলতে না পারায় এবং দোভাষী না পাওয়ায় মেয়েটির জবানবন্দি নেওয়া সম্ভব হয়নি।