‘পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় স্ত্রীকে হত্যা’, স্বামী আটক

‘পরকীয়া সম্পর্কে বাধা দেওয়ায়’ মাদারীপুরে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে তার স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ।

মাদারীপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 April 2019, 02:35 PM
Updated : 18 April 2019, 02:35 PM

বৃহস্পতিবার ভোরে মাদারীপুর পৌর শহরের দক্ষিণ থানতলী এলাকায় এই হত্যাকাণ্ড হয়।

আটক হারুন-অর-রশীদ সদর উপজেলার দুধখালি ইউনিয়নের বড়কান্দি গ্রামের আবু বকর মুন্সীর ছেলে।

নিহত সেলিনা আক্তার (৫০) শিবচর উপজেলার কাদিরপুর ইউনিয়নের মানিক মাস্টারের কান্দি গ্রামের জমির আলী উকিলের মেয়ে।

নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী জানান, প্রায় ৩০ বছর আগে সেলিনা ও হারুন-অর-রশীদের বিয়ে হয়। সেলিনাকে প্রায় সময়ই মারধর করতেন হারুন। তাদের এক ছেলে ও মেয়ে রয়েছে।

সেলিনার ছোটো ভাই মাজারুল ইসলাম বলেন, “দুই বছর ধরে একটি মেয়ের সঙ্গে হারুন পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। এতে বাধা দিলে সেলিনার উপর নির্যাতন করতেন তিনি। তারা কয়েকবার পারিবারিকভাবে বসেও বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করেছেন; কিন্তু তার স্বামীর কোনো পরিবর্তন হয়নি।

“হারুন বৃহস্পতিবার ভোরে আমার বোনকে হত্যা করে প্রথমে একটি আমগাছে ঝুলিয়ে রাখে। পরে সে নিজেই মাদারীপুর সদর হাসপাতালে মৃতদেহ রেখে পালিয়ে যায়।

“আমার বোনের মাথা, কপাল ও গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এটা পুরোপুরি পরিকল্পিত হত্যা। আমরা ন্যায় বিচার চাই।”

মাদারীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার শশাঙ্ক চন্দ্র ঘোষ বলেন, সকালে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে একজন মহিলাকে আনা হলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে চেক আপ করে দেখেন তিনি মৃত।

তিনি বলেন, পরবর্তীতে তারা থানার ওসিকে বিষয়টি অবহিত করেছেন এবং পুলিশ এসে বললে তারা ময়নাতদন্ত করেন। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত কিছুই বলা যাচ্ছে না।

এ বিষয়ে হারুন-আর-রশিদ বলেন, “এলাকার মানুষের সাথে আমাদের বিরোধ ছিল। ভোরে আমি নামাজ পড়তে গেলে এলাকার মানুষ আমার স্ত্রীকে মেরে গাছের সাথে ঝুলিয়ে রাখে।”

এ ব্যাপারে মাদারীপুর সদর থানার এসআই মজিবর রহমান বলেন, “মৃতদেহটি সদর হাতপাতালে ছিল। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ খবর দিলে মৃতদেহটি আমরা ময়নাতদন্তের জন্যে মর্গে পাঠাই। প্রাথমিক সুরতহাল দেখে এটাকে স্বাভাবিক আত্মহত্যা মনে হয়নি। পরে নিহতের স্বজনদের অভিযোগের ভিত্তিতে হারুন অর রশীদকে আটক করা হয়েছে।”

মাদারীপুর সদর থানার ওসি কামরুল হাসান বলেন, “হারুনের বসতঘরের পিছনে ছোট একটি আমগাছের ডালের সাথে একটি রশি ঝুলন্ত অবস্থায় পাই। পরে রশিটি পুলিশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এই ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।”