দুপুরে বগুড়া পুলিশ সুপার (এসপি) আলী আশরাফ ভুঁইয়া নিজ কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে একথা জানান।
এছাড়া এ হত্যা মামলার এক আসামিসহ দুইজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে বলেও তিনি জানান।
এরা হলেন বগুড়া শহরের নিশিন্দারার মৃত কালুর ছেলে পায়েল শেখ (৩৮) ও নিশিন্দারা মন্ডলপাড়ার আবু তাহেরের ছেলে রাসেল (২৮)।
এদিকে, বৃহস্পতিবার বগুড়া শহরের ঝোপগাড়ী এলাকায় শাহীনের বাড়িতে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ সময় তিনি তাদের সান্ত্বনা দেন।
গত রোববার (১৪ এপ্রিল) বাংলা নববর্ষের রাতে উপশহর এলাকায় শাহীনকে ছুরিকাহত ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। দুদিন পর মঙ্গলবার নিহতের স্ত্রী আক্তার জাহান শিল্পী বাদী হয়ে জেলা মোটর মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলামসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে এসপি আলী আশরাফ ভুঁইয়া বলেন, মোটর মালিক গ্রুপের দ্বন্দ্বের জের ধরেই হত্যাকাণ্ডটি হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়।
“প্রাথমিক জিঙ্গাসাবাদে আসামিরা বলেছেন- ১৪ এপ্রিল সন্ধ্যায় মোটর মালিক গ্রুপের এক নেতার অফিসে এক গোপন বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে শাহীনকে নিষ্ক্রিয় করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী ১০ জনের একটি দল মোটরসাইকেল নিয়ে এই হত্যাকাণ্ডে অংশগ্রহণ করে।”
এসপি বলেন, গ্রেপ্তার দুজনের মধ্যে নয় মামলার আসামি পায়েল এজাহারনামীয় এবং রাসেল সন্দেহভাজন আসামি।
অধিকতর তদন্তের স্বার্থে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আসামিদের ১০ দিনের হেফাজতে (রিমান্ড) নেওয়ার আবেদন করা হবে। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি পালসার মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে বলেও এসপি জানান।
শাহীনের বাড়িতে মির্জা ফখরুল
শাহীনের বাড়ি গিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বলেন এবং তাদের সান্ত্বনা দেন।
তিনি দেশের মানুষকে সকল ‘অপকর্মের’ বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা এবং রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।
ফখরুল বলেন, “শাহীনের পরিবার আজ অসহায়। জনগণের পাশে দাঁড়ানোই শাহীনের অপরাধ। এ হত্যাকাণ্ডে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান অত্যন্ত মর্মাহত।”
“তারা বলেছেন-বগুড়াবাসীর পাশে ছিলাম, আছি এবং থাকব,” বলেন ফখরুল।
এ সময় বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এম. রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, বগুড়া জেলা সভাপতি ভিপি সাইফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন চাঁন, নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য মোশারফ হোসেন, বিএনপি নেতা আলী আজগর হেনা, সাবেক এমপি গোলাম মো. সিরাজ প্রমুখ তার সঙ্গে ছিলেন।