এ ঘটনায় ওই নারী মঙ্গলবার ঘিওর থানায় মামলা করেছেন।
মামলায় ঘিওর উপজেলার হেলাচিয়া গ্রামের মোহাম্মদ আলী ওরফে উজ্জ্বল (৪০) ও তার কথিত সহযোগী এক নারীকে আসামি করা হয়েছে।
এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঘিওর থানার এসআই আশরাফুল ইসলাম মামলার বরাত দিয়ে জানান, ভুক্তভোগী নারীর স্বামী মালয়েশিয়া থাকেন। প্রায় চার বছর আগে মোহাম্মদ আলী ওরফে উজ্জলের সঙ্গে ওই নারীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
“এই সুযোগে উজ্জ্বল ওই নারীকে দিয়ে একটি এনজিও থেকে ৮ লাখ ২৫ হাজার টাকা ঋণ তোলান। এরপর ওই টাকা দেওয়ার কথা বলে ওই নারীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন উজ্জ্বল।”
এসআই আশরাফুল আরও বলেন, মঙ্গলবার রাতে ভুক্তভোগী নারী থানায় মামলা করেছেন। বুধবার ওই নারীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। আসামি উজ্জ্বল ও অপর নারী আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
মামলার বাদী ওই নারী সাংবদিকদের বলেন, প্রায় এক বছর আগে ঋণের টাকা দেওয়ার কথা বলে উজ্জ্বল তাকে মানিকগঞ্জ পৌরসভার সেওতা এলাকায় এক নারীর (অপর আসামি) বাসায় নিয়ে যান। এরপর ওই নারীর সহযোগিতায় উজ্জ্বল তাকে ধর্ষণ করেন।
“বিষয়টি জানালে আপত্তিকর ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ওই বাসায় নিয়ে উজ্জ্বল আরও বেশ কয়েকবার ধর্ষণ করেন।”
তিনি বলেন, সর্বশেষ মঙ্গলবার তার স্কুলপড়ুয়া (অষ্টম শ্রেণি) মেয়েকে নিয়ে তিনি একই বাসায় যান। এদিনও উজ্জ্বল তাকে ধর্ষণ করেন। এরপর তার মেয়েকেও ধর্ষণের চেষ্টা করেন।
এ সময় তার ডাকচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে উজ্জ্বল ও ওই বাসার মালিক সেই নারী পালিয়ে যান বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে মোহাম্মদ আলী ওরফে উজ্জ্বলের মোবাইলে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি।