মঙ্গলবার সকালে শহরের বনপাড়া রেলক্রসিং এলাকায় মেয়েটিকে মারধর করা হয়। এর কিছুক্ষণ পরই পুলিশ জাহাঙ্গীর আলমকে (৩২) গ্রেপ্তার করেছে।
মারধরে আহত কলেজছাত্রীকে (১৮) জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
নির্যাতিতা মেয়েটি সাংবাদিকদের বলেন, কলেজ ও কোচিংয়ে যাওয়া আসার পথে জাহাঙ্গীর প্রায়ই তাকে উত্ত্যক্ত করত।
“মঙ্গলবার সকাল ৯টায় খামারবাড়ি এলাকা থেকে কোচিং শেষে বাড়ি ফেরার পথে সে আবার উত্ত্যক্ত করে এবং প্রেমের প্রস্তাব দেয়।”
তিনি বলেন, প্রতিবাদ করলে চুলের মুঠি ধরে টেনে হেঁচড়ে রাস্তায় ফেলে চড়-থাপ্পর কিল ঘুষি লাথি মারতে থাকে। মারধরের এক পর্যায়ে ওই ছাত্রীর ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ফয়সাল আহমেদ বলেন, “মেয়েটিকে শারীরিক নির্যাতন হয়েছে। তার শরীরে ফুলা জখমের চিহ্নেআছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।”
জামালপুর সদর থানার ওসি মো. সালেমুজ্জামান বলেন, এ ব্যাপারে মেয়েটি বাদী হয়ে জামালপুর সদর থানায় নির্যাতনকারী জাহাঙ্গীরকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেছেন।
“মামলা করার পরপরই দ্রুত অভিযান চালিয়ে শহরের কলেজ রোডে খোশমহল এলাকা থেকে জাহাঙ্গীরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”
নির্যাতিতা মেয়েটি জামালপুর সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ছাত্রী।