শনিবার সকালে ওই কলেজেরই হাসপাতালে নেওয়ার পর তাকে মৃত বলে জানান চিকিৎসক।
মৃত কুরাত উল অ্যানি আলি ভারতের জম্মু কাশ্মির প্রদেশের আহম্মদ আলির মেয়ে। তিনি এমবিবিএস চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
গাজীপুর মহানগরের গাছা থানাধীন বড়বাড়ি এলাকায় তায়রুন নেছা মেমোরিয়াল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অবস্থান।
গাছা থানার ওসি ইসমাইল হোসেন বলেন, এমবিবিএস ৪র্থ বর্ষের ছাত্রী কুরাত মৃগী রোগী ছিলেন। শনিবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে কলেজ হোস্টেলে তার খিঁচুনি শুরু হয়। ওই হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
“বিষয়টি তার স্বজনদের জানানো হয়েছে। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিনা ময়নাতদন্তে দেশে নিয়ে যাওয়ার জন্য তার লাশটি স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।”
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কলেজের একজন চিকিৎসক বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই কুরাত এপিলেপসি (মৃগী) রোগে ভুগছিলেন। এ রোগীদের নিয়মিত ওষুধ সেবন করতে হয়। যেকোনো সময়েই এ রোগের লক্ষণ অর্থাৎ খিঁচুনি দেখা দিতে পারে।
তিনি বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে তিনি ওষুধ সেবন বন্ধ রাখেন। শনিবার ভোরে হোস্টেলে নিজের কক্ষে ফজরের নাম পড়েন। পরে বিছানায় শুয়ে থাকা অবস্থায় খুরাতের খিঁচুনি শুরু হয়।
খিঁচুনির সময় তার গোঙানির শব্দে তার এক রুমমেট সতীর্থের ঘুম ভেঙে যায়। পরে তাকে ওই হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয় বলে এই চিকিৎসক জানান।