বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ৩টায় কারা হাজত থেকে তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্ ঘোষণা করেন।
মৃত এস্এম শামীম আরজু কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক তাপস কুমার সরকার জানান, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় শামীম আরজুকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে চিকিৎসাপত্র দেওয়া হলে রোগীকে কারারক্ষীরা নিয়ে চলে যান।
“পরে বেলা সাড়ে ৩টার দিকে আবার তাকে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।”
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে তার মৃত্যু হয়েছে, বলেন সিভিল সার্জন।
আরজুর স্ত্রী হাছিনা বানুর অভিযোগ, আরজু আগে থেকেই হৃদরোগ জটিলতায় ভুগছিলেন। বিষয়টি কারাকর্তৃপক্ষকে অবহিতও করা হয়েছিল।
“বৃহস্পতিবার কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম রেজাউল করীমের আদালতে আবেদন করলে আদালত তা আমলে নেন এবং তাৎক্ষণিক আরজুর চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আদেশ দেন।”
কিন্তু কারাগারে আদেশ পাঠানোর পরও কারাকর্তৃপক্ষ সময়মতো প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা না করায় তার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেন হাছিনা।
এ ব্যাপারে জেল সুপার জাকের হোসেন বলেন, পরিবারের কারো মৃত্যু হলে কতরকম কথাই তো বলে থাকেন। অসুস্থ হাজতি শামীম আরজুর চিকিৎসায় কারাকর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন।
“চিকিৎসকের পরামর্শ মতেই তাকে কারাগারে নিয়ে আসা হয়েছিল। পরে আবার বেশি অসুস্থ্য হলে সঙ্গে সঙ্গে তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়।”
গত ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে সকাল সাড়ে ১০টায় কুষ্টিয়া কালেক্টরেট চত্বরের শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দেওয়ার সময় জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক সাংসদ সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী, সাধারণ সম্পাদক সাবেক সাংসদ সোহরাব উদ্দিন এবং জেলা বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এস্এম শামীম আরজুসহ বিএনপির কয়েকজন নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ।
পরে পুলিশের উপর হামলা এবং সরকারি কাজের বাধাদানের অভিযোগে মডের থানা পুলিশের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। আদালত গ্রেপ্তার সকল নেতাকর্মীদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়। সেই থেকে হাজতে ছিলেন শামীম আরজু।