‘বহিরাগত দিয়ে সহপাঠীকে মারধর’, ইবি শিক্ষার্থী বহিষ্কার

তুচ্ছ ঘটনার জেরে বহিরাগত দিয়ে সহপাঠীকে মারধর করানোর অভিযোগে ইসলামী বিশ্ববিদ্যলয়ের এক শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছে কর্তৃপক্ষ।

কুষ্টিয়া প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 April 2019, 05:07 PM
Updated : 11 April 2019, 05:07 PM

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এস এম আব্দুল লতিফ জানান, বুধবার রাতে একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়। এছাড়া ঘটনাটি তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।

বহিষ্কৃত আশিকুজ্জামান আকাশ আইন ও ভূমি ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী।

রেজিস্ট্রার জানান, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আবাসিক হলে বহিরাগতদের নিয়ে এসে আকাশ তার বন্ধু একই হলের আবাসিক ছাত্র হোসনে মোবারক সাগরকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন।

তিনি বলেন, মারধরের ঘটনায় আহত সাগর বিচার চেয়ে লিখিত অভিযোগ করেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে। অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় বুধবার রাতেই আকাশকে সাময়িক বহিষ্কার করে প্রশাসন।

রেজিস্ট্রার লতিফ জানান, এ ঘটনার অধিকতর তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর মাহবুবর রহমানকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি করা হয়েছে এবং আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন ছাত্র জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ছাত্রলীগ কর্মী আকাশ ও সাগরের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এ সময় আকাশ তার বন্ধু সাগরকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। কিছুক্ষণ পর সন্ধ্যা ৭টার দিকে আকাশ ৭-৮ জন স্থানীয় বহিরাগত নিয়ে বঙ্গবন্ধু হলে এসে হলের আবাসিক ছাত্র সাগরকে বেধড়ক মারপিট করে গুরুতর আহত করেন।

বিষয়টি হলের অন্যান্য শিক্ষার্থীরা টের পেয়ে ধাওয়া করলে বহিরাগতরা পালিয়ে যায়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে আকাশকে আটক করে লিখিত অভিযোগসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের হাতে তুলে দেন তারা।

প্রক্টর নাছির উদ্দিন আজহারী বলেন, আবাসিক ছাত্রকে মারধরের সংবাদ পেয়ে ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক পরেশ চন্দ্র বর্ম্মণ এবং হলের আবাসিক শিক্ষক শরিফুল ইসলাম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। আহত ছাত্রকে উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়।

“একই সাথে আহত ওই শিক্ষার্থীর লিখিত অভিযোগ আমলে নিয়ে তা একাডেমিক কাউন্সিলে উপস্থাপন করা হয়।”

এ বিষয়ে ইবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা হালিম বলেন, ইবি ছাত্রলীগ কর্মী আকাশ বহিরাগতদের ডেকে এনে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রকে মারধর করেছেন এটা অবশ্যই সাংগঠনিক শৃংখলা পরিপন্থি কাজ। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাকে বহিষ্কারের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেটা নিয়ে কিছু বলার নাই।

বহিষ্কৃত ছাত্র আকাশের মোবাইল ফোনে কল করে তা বন্ধ পাওয়া যায়।